নয়াদিল্লি : আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে জোর। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ছাড়পত্র পেয়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা দিয়ে দেশে তৈরি অস্ত্র ও সরঞ্জাম কিনতে চলেছে কেন্দ্র। আকাশপথে নজরদারি করার সরঞ্জাম, নৌবাহিনীর জন্য পেট্রল ভেসেল, সেনার জন্য মডিউলার ব্রিজ এর মধ্যে রয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজেশন কাউন্সিল এই সরঞ্জাম ক্রয়ের ব্যাপারে ছাড়পত্র দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে দেশে তৈরি অস্ত্র কেনা হলে অস্ত্র আমদানির ব্যয়ে লাগাম পরানো যাবে। দেশের শিল্পে জোয়ার আনার সম্ভাবনা থাকবে।
এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে ডিআরডিও হাতে তৈরি অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম কেনা হবে। এছাড়াও অস্ত্র কেনা হবে বিভিন্ন দেশীয় কোম্পানির কাছ থেকে। ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ওয়ার্ণিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম, ভারতীয় নৌসেনার জন্য নেক্সট জেনারেশন অফশোর পেট্রল ভেসেল নেওয়া হবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি ‘Buy Indian’। অর্থাৎ দেশীয় কোম্পানিগুলির কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র কিনতে হবে।
ভারতীয় কোম্পানিগুলির কাছ থেকে যে অস্ত্র কেনা হবে, তা আত্মনির্ভর প্রকল্পের আওতাধীন। মোট ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলি থেকে অস্ত্র কেনা হবে ২৭ হাজার কোটি টাকার। সাতটির মধ্য ছটি প্রস্তাবই দেশীয় কোম্পানিগুলির জন্য রাখা হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের পর থেকে অস্ত্র কেনার ব্যাপারে বাইরের কোম্পানিগুলির ওপরেই নির্ভরশীল ছিল ভারত। প্রায় দুই দশক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও অস্ত্র কেনা হত বাইরের দেশ থেকে। এজন্য প্রতি বছর প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হত। পরে বিশেষজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিয়ে দেশেই অস্ত্র তৈরির কারখানা চালু করার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়। মূলত ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সালের অগাষ্ট মাস পর্যন্ত ২৬০টি প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে তিন লক্ষ কোটির অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনা হয়েছে।
মোদী সরকার জানিয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দেশীয় কোম্পানিগুলির ওপরেই জোর দেওয়া হবে। চার লক্ষ কোটি টাকার চুক্তি ইতিমধ্যেই করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.