২৩ বিদ্রোহীর সঙ্গে দর কষাকষি, কংগ্রেসে গান্ধী বিরোধিতার সুর মেটাতে তৎপর সোনিয়া
কংগ্রেসের ২৩ বিরোধীদের ক্ষোভ মেটাতে নাজেহাল সোনিয়া গান্ধী। এই পরিস্থিতিতে বিগত দিনে বেশ কয়েকজ বিদ্রোহী নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষেভ প্রকাশ করেছিলেন গান্ধী ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতারা। কদমে কদমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, গান্ধী ছাড়া কংগ্রেসের দাম নেই। তবে এবার সেই বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসতে চলেছেন কংগ্রেসের অন্তরবর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।

বৈঠকের 'টাইমিং' নিয়ে জল্পনা
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বৈঠক নিছক আলোচনা নয়। বরং বিদ্রোহীদের তরফে কোনও 'ট্রেড অফ'-এর প্রস্তাব দেওয়া হবে। যা বিবেচনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাববে কংগ্রেস হাইকমান্ড। বিদ্রোহীদের সঙ্গে এই বৈঠক এবং কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী বৈঠকের মধ্যে খুব বেশি দিনের ব্যবধান নেই। এবং এই 'টাইমিং' নিয়েই ভাবছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

রাহুল গান্ধীকে সভাপতি করতে চাইছেন সোনিয়া
মনে করা হচ্ছে, রাহুল গান্ধীকে আসন্ন কার্যনির্বাহী বৈঠকে কংগ্রেসের সভাপতি বসাতে চইছেন সোনিয়া। তবে রাহুল নিজে এই বিদ্রোহের মাঝে সভাপতি হতে চাইছেন না। তবে যদি এই বিদ্রোহের সুর আর না বাজে, তাহলে মসনদে বসার বিষয়ে ভেবে দেখতে পারেন সোনিয়া পুত্র। এবং সেই লক্ষ্যেই ২৩ বিদ্রোহীদের চুপ করানোর 'দাম' খুঁজতে বৈঠকে বসতে চলেছেন সোনিয়া।

কংগ্রেসের শীর্ষ স্থানীয় বেশ কয়েকজন দেখা করেন রাহুলের সঙ্গে
এদিকে জানা গিয়েছে যে কংগ্রেসের শীর্ষ স্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সভাপতির পদ প্রত্যাখ্যান করতে বারণ করেন। তবে রাহুল গান্ধীর বক্তব্য, দলের জন্য কাজ করতে সভাপতি হতে হয় না। এদিকে কংগ্রেসের একাংশের দাবি, রাহুল গান্ধীর মতো অন্য কোনও অ-গান্ধী নেতা দেশের মন জয় করতে সক্ষম হবেন না। এমনকী অ-গান্ধী নেতা সভাপতি পদে বসলে দলকেও সংগগবদ্ধ রাখতে পারবেন না।

সোনিয়ার দর কষাকষি
এদিকে সূত্রের মত, যেহেতু ২৩ জন বিদ্রোহী সরাসরি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি, তাই সভাপতি পদের মর্যাদার কথা ভেবে এই পদের জন্যে 'নির্বাচন'-এর আস্বাস দেওয়া হতে পারে। এমনকী কংগ্রেসে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদেরকেও নির্বাচনের মাধ্যমে নিযুক্ত করার দাবি মেনে নেওয়া হতে পারে সোনিয়া গান্ধীর তরফে। তবে এর বদলে সোনিয়া গান্ধী জনসমক্ষে এই নেতাদের তরফে গান্ধী আনুগত্যের বার্তা প্রকাশের আশা রাখছেন।