তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়াঃ মাত্র ২৪ ঘন্টার কম সময়ের মধ্যে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলে বড় ধাক্কা। বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা, তিন দশকেরও বেশী সময়ের বিষ্ণুপুর পুরসভার পুর-প্রধান, প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই হাঁটলেন তাঁর অনুগামীরা।

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘তৃণমূল ত্যাগে’র কথা ঘোষণার পরই প্রাক্তন উপ পুর-প্রধান বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় সহ ১২ জন তৃণমূল থেকে গণ-ইস্তফা দিলেন। জেলা তৃণমূল সভাপতির উদ্দেশ্যে লেখা ওই গণ ইস্তফার চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের প্রতি যে অবহেলা এবং সাংগঠনিক কাজ করতে না দেওয়া তার প্রতিবাদে আমরা দল থেকে পদত্যাগ করলাম’।

ওই চিঠিতে ‘কেউ দীর্ঘ ৩৫ বছর উপ পুর-প্রধান, আবার কেউ ১০ থেকে ২৫ বছরের কাউন্সিলর’ বলে উল্লেখ করেছেন। যাতে প্রাক্তন উপ পুর-প্রধান বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় সহ পর্যায়ক্রমে সই রয়েছে রবিলোচন দে, শ্রীকান্ত, মমতা কুণ্ডু (৮ নম্বর ওয়ার্ড), আনন্দ রায়, উদয় ভকত, সিদ্ধেশ্বর ধীবর, সন্ধ্যা দাস, রাখী ক্ষেত্রপাল, মমতা কুণ্ডু, গোপা মুখার্জী ও চৈতালী চৌধুরী দাসের। প্রত্যেকেই এক চিঠিতে তৃণমূল জেলা সভাপতির কাছে দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা ও তা দ্রুত কার্যকরী করার দাবি জানিয়েছেন।

এক সঙ্গে ১২ জন তৃণমূল নেতা নেত্রীর দল ছাড়ার খবরে বেজায় অস্বস্তিতে শাসক শিবির। এই ঘটনায় বিষ্ণুপুর পুর-এলাকায় ঘাস ফুল শিবির সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল বলে জেলা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন।

এদিন বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন উপ পুর-প্রধান বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, গত দু’তিন বছর ধরে আমাদের সাংগঠনিক কাজ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথা হয়েছে। আমরা প্রত্যেকেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওনারা অনেক দিন বিজেপি করছেন। ক্ষোভ থাকতে পারে। সবাই মিলে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে বলেও তিনি জানান।

সদ্য তৃণমূলত্যাগী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবিষয়ে বলেন, আমার পুর-বোর্ডের ১২ জন কাউন্সিলরই তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। আমাদের সাংগঠনিক কাজ করতে দেওয়া হয়নি, বারবার অসম্মানিত করা হয়েছে। আমরা প্রত্যেকেই শুভেন্দু অধিকারীর সৈনিক, তিনি আমাদের অভিভাবক, পথ প্রদর্শক। আর আগামী কালই প্রত্যেকেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি। তাঁকে বিজেপিতে যোগ দিতে দেওয়া যাবেনা, এনিয়ে গেরুয়া শিবিরের একাংশের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওটা আমাদের বিষয় নয়, শুভেন্দু বাবু দেখবেন’।

তৃণমূল জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরার ‘শ্যাম মুখার্জী দলে থেকে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন’। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এবার স্বস্তিতে থাকুন, শুভেচ্ছা রইল’।

এরপরই তৃণমূল জেলা সভাপতিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘উনি বড় জ্যোতিষী! নিজে জিতে আসতে পারবেন কিনা সেটা দেখুন’। একই সঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলার ১২ টি আসনই বিজেপি দখল নেবে বলেও তিনি দাবি করেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর এক বছর কেটে গেলেও অমানবিকতার ছবি আজও সামনে আসছে ।সচেতন ও মানবিক হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন কারডিওলজিস্ট বিনায়ক দেব।