করোনা টিকাকরণে নেই বাধ্যবাধকতা! ভ্যাকসিন সংক্রান্ত একগুচ্ছ জটিলতা কাটাল কেন্দ্র
একদিকে যেমন ভারতে সর্বশেষ ট্রায়ালের পথে এগোচ্ছে একাধিক সম্ভাব্য প্রতিষেধক, অপরদিকে ভারত বায়োটেকের করোনা প্রতিষেধকের অন্তিম ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবকদের অনীহার কারণে থমকে যাচ্ছে গবেষণা। এসবের মাঝেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নতুন বিধিনিষেধের জেরে স্বস্তিতে আমজনতা। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানান হয়েছে, নাগরিকদের ইচ্ছা হলে ভ্যাকসিন নিতে পারেন নতুবা নাও নিতে পারেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, অন্যান্য দেশের প্রতিষেধকের মতোই সমান শক্তিশালী ভারতের টিকা এবং এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজের দু'সপ্তাহ পর থেকে শরীরে রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরিতেও সক্ষম।

সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে করোনা সংক্রান্ত একগুচ্ছ সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিল ভারতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় বিভাগের তরফে জানান হয়েছে, "করোনা থেকে সেরে ওঠার পরেও ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ কোর্স নেওয়া উচিত। যদিও এটা সম্পূর্ণভাবে আপনার ইচ্ছাভিত্তিক, তবুও নিজেকে ও আশপাশের মানুষকে সুস্থ রাখতে গেলে ডোজ নেওয়াটা আবশ্যিক।" এই মুহূর্তে ভারতে প্রায় ৬টি ভ্যাকসিন প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকলেও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ইঙ্গিত, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন-ই হয়তো জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের ছাড়পত্র পাবে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে কী বলল কেন্দ্র?
এফএকিউতে ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়েও এদিন জবাব দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কেন্দ্রের বক্তব্য, "সবরকমের প্রতিক্রিয়া খতিয়ে দেখে তবেই ছাড়পত্র পাবে ভ্যাকসিন। যদিও হালকা জ্বর বা ব্যথার মত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই স্বাভাবিক।" মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২৮ দিনের ব্যবধানে দুইটি ডোজ নিতে হবে নাগরিকদের। পাশাপাশি বিবৃতিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ডায়াবেটিস বা ক্যানসারের মত কোমরবিডিটি যুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে টিকাকরণ বাধ্যতামূলক।

অধিক ঝুঁকিপূর্ণ নাগরিকদের আগে টিকাকরণ
পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এও জানান হয়েছে, প্রথমে ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা বিচারের পরেই সমস্ত কোভিড যোদ্ধা সহ পঞ্চাশোর্ধ্ব নাগরিকদের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে সবার আগে টিকা দেওয়া হবে। মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে যে, টিকাকরণ সাইটে ভিড় এড়াতে তালিকাভুক্ত ফোন নম্বরে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে টিকাকরণের খবর পাঠানো হবে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, "কেন আগে স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, এমন প্রশ্ন উঠছে অনেকের মনেই। তাঁদের আমরা জানিয়ে দিতে চাই যে, যাঁরা দিনরাত এক করে কোভিড যুদ্ধে সামনে থেকে লড়ে গেছেন, তাঁদের এটুকু নিরাপত্তা বা এটুকু সম্মান তো প্রাপ্য!"

টিকাকরণের আগে শুরু যুদ্ধকালীন তৎপরতা
অন্যদিকে টিকাকরণ সম্পর্কে কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, " প্রাথমিক পর্যায়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স, জব কার্ড বা প্যানকার্ডের মত যেকোনও সরকারি তালিকায় নথিভুক্ত ফটো আইডির মাধ্যমে কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। ফর্মে উল্লিখিত ফোন নম্বরেই সরকারের তরফে টিকাকরণ সংক্রান্ত মেসেজ পাঠানো হবে।" অন্যদিকে টিকা নেওয়ার পরেও বেশ কিছু বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের কথা বলেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।টিকা নেওয়ার পর কমপক্ষে আধঘন্টা কেন্দ্রে বসে যাওয়ার পাশাপাশি কোনোরকম শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে সরাসরি হেল্পলাইনে ফোন করারই পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
শুভেন্দুর দল ছাড়ার হিড়িকের মধ্যেই আরও এক বিধায়ক বিজেপিমুখী! ফাটল সিপিএমেও