করোনাকালে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের দেখভাল করতে চাকরি হারিয়েছেন অধিকাংশ মা-বাবা
ভারতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য রয়েছে আইন। তবুও করোনাকালে সেই আইনের সুবিধা নিয়ে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদেরকে কী ভালো রাখতে পেরেছেন শিশুদের মা-বাবা। করোনাকালে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বাবা-মারা নিজেদের সন্তানকে ভালো রাখতে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে স্কুলে ভর্তি করতেও অসুবিধা হয়।

কয়েকদিন আগেই একটি রিপোর্ট প্রকাশ পায়, যাতে জানানো হয় যে ৪২.৫ শতাংশ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের চিকিৎসা পেতে অসুবিধা হয়। এই পরিস্থিতিতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা ক্ষেত্রেও অসুবিধা হয়েছে। এবার চাকরি হারানো মা-বাবাদের পরিস্থিতিতে আরও অসুবিধা হয়েছে সেই সব শিশুদের। করোনা কালে পড়াশোনা তো দূরের থাক, এই সব বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের দেখভালও ঠিক করে হয়নি।
আজ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু-কিশোরেরা সমন্বয়করণ শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারি প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভের অধিকারী। তবে বাস্তব বড় কঠিন। ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে। তাই আর পাঁচটা সাধারণ শিশুর মতো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদেরও ভর্তি হতে হচ্ছে সরকারি সাধারণ স্কুলে। তবে সেভাবে কী তারা এই করোনাকালে পড়াশোনা করতে পারছে?
আগে ছিল অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তৈরি বেঞ্চ, সিঁড়ি। আর এখন মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস। তবে বেশিরভাগ শিশুদের মা-বাবার আর্থিক সংগতি না থাকায় সেই গতিপ্রকৃতিও বাধাপ্রাপ্ত।