শ্রীনগর : কাঁপছে কাশ্মীর। বরফের পাতে মুড়ে রাস্তাঘাট, গলি থেকে রাজপথ। বৃহস্পতিবার মরশুমের শীতলতম রাত প্রত্যক্ষ করল উপত্যকা। তাপমাত্রা নামল মাইনাস ৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শ্রীনগরে যখন তাপমাত্রা মাইনাস ৬.৪, তখন জম্মু দাঁড়িয়ে মাইনাস ৩ ডিগ্রিতে।

তবে পারদ জানায় লাদাখের দ্রাস টাউনের তাপমাত্রা বৃহস্পতিবার রাতে ছিল মাইনাস ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মধ্যে দ্রাসেই তাপমাত্রা সবথেকে কম ছিল। যদিও আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল তাপমাত্রা আরও নামবে। গত তিন দশকের মধ্যে বৃহস্পতিবারই শীতলতম রাত দেখল উপত্যকা।

২১ ও ২২শে ডিসেম্বর ভারি মাত্রায় তুষারাপাত হতে পারে। জনপ্রিয় স্কি রিসর্ট গুলমার্গে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১১ ডিগ্রি। পাহালগামে মাইনাস ৮.৯ ডিগ্রি, কাজিগান্দে মাইনাস ৪.৯ ডিগ্রি, কুপওয়াড়ায় মাইনাস ৫.৮ ডিগ্রি, কোকেরনাগে মাইনাস ৪.৮ ডিগ্রি, সোনমার্গে মাইনাস ৭.১ ডিগ্রি, অনন্তনাগে মাইনাসে ৬.০ ডিগ্রি, সোপিয়ানে মাইনাসে ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

পুরোপুরি বরফে ঢেকে গিয়েছে বিখ্যাত ডাল লেক। শুধু ডাল লেকই নয়, কাশ্মীরের প্রতিটি জলাশয়ই বরফে মোড়া। মৌসম ভবন জানাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশের ওপরে থাকা ঘূর্ণাবর্ত দুর্বল হয়ে গিয়েছে। ফলে শীতের পথে আর কোনও বাধাই নেই। উত্তর পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবও নেই। ফলে সেখানে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। শীত কামড় বসাচ্ছে জমিয়ে। উত্তর পশ্চিম ভারতের এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়তে চলছে মধ্যভারত এবং পূর্বভারতেও। আগামী ৩-৪ দিনে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং সংলগ্ন এলাকায় তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যেতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

জম্মুতে কাটরা টাউনে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাটোটে মাইনাস ১.২ ডিগ্রি, বানিহালে মাইনাস ২.৬ ডিগ্রি ও বাদেরওয়াতে মাইনাস ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। উপত্যকার ৪০ দিন ধরে চলা চিল্লাই কালান শুরু হচ্ছে ২১শে ডিসেম্বর থেকে। ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই মরশুম। চিল্লাই কালান চলাকালীনই সর্বাধিক বরফপাতের খবর মেলে কাশ্মীর থেকে।

এদিকে, সারা দেশের নিরিখে আগে থেকেই শীত জাঁকিয়ে বসেছে। ইতিমধ্যেই হরিয়ানা, চণ্ডিগড়, পঞ্জাব, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের কিছু জায়গায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে ‘কোল্ড ডে’র পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় হাওয়া অফিসের তরফে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর এক বছর কেটে গেলেও অমানবিকতার ছবি আজও সামনে আসছে ।সচেতন ও মানবিক হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন কারডিওলজিস্ট বিনায়ক দেব।