কলকাতাঃ  একের পর এক ধাক্কা। বাংলাজুড়ে তৃণমূল বিধায়ক-সাংসদদের ইস্তফা। কার্যত বিধানসভা ভোটের আগে প্রবল চাপের মুখে শাসকদল তৃণমূল। তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটের বাড়িতে চলছে জরুরি এই বৈঠক। একদিকে যখন নেত্রীর ডাকে চলছে জরুরি বৈঠক ঠিক তখন ফের ধাক্কা তৃণমূলে।

তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন মালদহ গাজলের তৃণমূল বিধায়ক দিপালী বিশ্বাসের স্বামী রঞ্জিত বিশ্বাস। শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়তেই ধস মালদহ তৃণমূল শিবিরে। একের পর এক জেলা নেতা দল ছাড়ছেন।

ফের ভাঙন জেলা তৃণমূলে। পদত্যাগ করলেন রঞ্জিত বিশ্বাস। তৃণমূলের মালদহ জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন তিনি। রঞ্জিত বিশ্বাসের তৃণমূল ত্যাগ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, রঞ্জিত বিশ্বাসের সঙ্গে ফোনে কথা বলবো। প্রয়োজনে রাজ্য নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে আলোচনা করবে যাতে তিনি তৃণমূল না ত্যাগ করেন। যদিও উল্টো সুর আরও এক নেতার। মালদহ জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, রঞ্জিত বিশ্বাস দল ত্যাগ করেছে ভালো হয়েছে। অন্য দলে গেলে সেই দলটাকেও পঁচিয়ে দেবে বলে মন্তব্য তাঁর।

দুলালবাবুর মতে, তৃণমূলে এসেছিল ব্যবসা করতে। ব্যবসা শেষ অন্য দলে যাচ্ছে। তাঁকে প্রার্থী করলে সে জিতত না বলে দাবি তাঁর। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে গাজোল কেন্দ্র থেকে সিপিএমের হয়ে জয়ী হন দিপালী বিশ্বাস। সেই বছরই তিনি সিপিএম ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদান করেন।

রাজনৈতিক মহল সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের পর একের পর এক নেতা তৃণমূল ত্যাগ করতে পারে। শুভেন্দু অধিকারীর দীর্ঘদিন মালদহের অবজারভার ছিলেন। জেলায় প্রচুর অনুগামী রয়েছে তাঁর। একের পর এক তৃণমূল নেতার দল থেকেই উল্লসিত বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আরও অনেকেই আসবে। আগামিদিনে তৃণমূল খালি হয়ে যাবে বলে দাবি জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র মন্ডলের।

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে এই মুহূর্তে চলছে জরুরি বৈঠক। এই বৈঠকে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস-সহ অন্যরা। দলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরও রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে দাবি, এটা রুটিন বৈঠক। গত কয়েকদিনে শুভেন্দু, জিতেন্দ্র-সহ একাধিক নেতার দল ছাড়ার হিড়িক। সেখানে কীভাবে বিরোধী রাজনৈতিক হাওয়ার সঙ্গে যুঝতে হবে , সেটাই আলোচ্য। পাশাপাশি জেলাওয়ারি কার্যক্রম ও জনসংযোগ বাড়ানোর দিশা স্থির হতে পারে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর এক বছর কেটে গেলেও অমানবিকতার ছবি আজও সামনে আসছে ।সচেতন ও মানবিক হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন কারডিওলজিস্ট বিনায়ক দেব।