প্রতীতি ঘোষ, বারাসাত : ক্রমশ লম্বা হচ্ছে তালিকা। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে কার্যত ল্যাজে-গোবরে শাসকদল তৃণমূল। পদত্যাগের হিড়িক বাংলা জুড়ে। এবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করলেন বসিরহাটের দাপুটে তৃণমূল নেতা ফিরোজ কামাল ওরফে বাবু মাস্টার।

শুক্রবার উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদে এসে তিনি জেলা পরিষদের শিক্ষা, ক্রীড়া ও তথ্য সংস্কৃতি বিষয়ক দফতরের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। যা কিনা শাসকদলের কাছে বড় ধাক্কা। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গত কয়েকদিন আগেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ রতন ঘোষ পদত্যাগ করেন।

আর তৃণমূল ছাড়ার পরেই বিজেপিতে যোগ দেন। আর তা দেওয়ার পরেই উত্তর চব্বিশ জেলা পরিষদে এবার শিক্ষা, ক্রীড়া ও তথ্য- সংস্কৃতির দায়িত্বে থাকা বাবু মাস্টার পদত্যাগ করলেন নিজের পদ থেকে। জেলার বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ এলাকার দোর্দন্ড-প্রতাপ নেতা ফিরোজ কামাল গাজী ওরফে বাবু মাস্টার দলের বিরুদ্ধে বেঁকে বসেছিলেন আগেই।

শুক্রবার তিনি জেলা শাসকের দফতরে ও জেলা পরিষদ কার্যালয়ে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দিলেন । নতুন কোন দলে যোগদান করছেন? সে প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সব পথ খোলা থাকলেও ডানপন্থী পথেই হাঁটবেন অর্থাৎ ইঙ্গিত বিজেপিতে যোগদানের। মনে করা হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই হয়তো বিজেপিতে যাবেন বাবু-মাস্টার।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেই নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার সকালে দলের সমস্ত পদ থেকেও ইস্তফা দেন শুভেন্দু। এরপর থেকেই কার্যত ঝড় শাসকদলে। গোটা বাংলা জুড়ে একের পর এক ‘উইকেটে’র পতন! উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই ছবিটা এক। একের পর এক তৃণমূল নেতা, বিধায়কের ইস্তফা। আজ শুক্রবারও ছবিটা এক।

শুক্রবার সকালেই দোল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। এরপর ইস্তফা দেওয়ার তালিকাটা ক্রমশ লম্বাই হচ্ছে। বিধানসভা ভোটের আগে কার্যত ‘ঝড়’ শাসকদল তৃণমূলে। আর তা আটকানোটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ শাসকদলের কাছে। যদিও এই অবস্থায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটে জরুরি এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

শুধু তাই নয়, বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলের রণকৌশল কি হবে তা নিয়েও এদিন আলোচনা হতে পারে বলে খবর।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর এক বছর কেটে গেলেও অমানবিকতার ছবি আজও সামনে আসছে ।সচেতন ও মানবিক হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন কারডিওলজিস্ট বিনায়ক দেব।