বারাকপুর: একের পর এক ধাক্কা তৃণমূলে। বৃহস্পতিবার সকালে দল ছাড়েন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর একের পর এক তৃণমূল নেতা-কর্মী দল ছাড়েন। দল ছাড়েন পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক জীতেন্দ্র তিওয়ারিও। সম্ভবত সন্ধ্যায় আরও বড় ধাক্কা অপেক্ষা করছিল তৃণমূলের জন্যে! দল ছাড়েন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার সকাল হতেই ফের ধাক্কা শাসকদলে। দল ছাড়লেন শীলভদ্র দত্ত।
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ই মেল মারফৎ চিঠি পাঠিয়ে দলের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শীলভদ্র দত্ত। দল ছাড়ার পরেই এদিন শীলভদ্রের কার্যালয় থেকে সরানো হয়েছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি। সেখানে বসেছে বিবেকানন্দ’র ছবি।
ছবি সরানো প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি কোনও দলে নেই তাই ওই দলের প্রতীক সরিয়ে দিয়েছি। বিবেকানন্দ তো সব সময় সম্মানীয় তাই তাঁর ছবি লাগিয়েছি।’ তবে দল ছাড়লেও এখনও বিধায়ক পদে নিজেকে ধরে রেখেছেন শীলভদ্র দত্ত। কিন্তু সরকারি গাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তবে নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে তাঁর।
তবে এবার তাঁর গন্তব্য বিজেপি কিনা, সে প্রসঙ্গে কোনও কথা খোলসা করে জানান নি বারাকপুরের বিধায়ক। তবে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা যে অমিত শাহের সঙ্গে একমঞ্চে দেখা যেতে পারে তাঁকেও।
উল্লেখ্য, বরাবরই মুকুল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বারাকপুরের শীলভদ্র দত্ত। এর আগে একাধিকবার প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর দলের কাজকর্ম নিয়ে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছিলেন তিনি। সচেতন রাজনৈতিক মহলের মতে, মুকুল রায় গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পরে দলের অন্দরে কিছুটা কোণঠাসা ছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে যে কোনও দিন যে শীলভদ্র দত্ত তৃণমূল ছাড়তে পারে তা আশঙ্কা করা হচ্ছিল ।
উল্লেখ্য, বিধায়কেরা দল ছাড়লেও তৃণমূল অনড়। নির্বাচনের আগে দু’টো থেকে দশটা বিধায়ক চলে গেলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেউ এত বড় বীর নয় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে দিলে দলটা উঠে যাবে। কারণ আমরা দলের জন্য নয়, মানুষের জন্য কাজ করি।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেন, ‘দলের হাজার কর্মী আছেন, লক্ষ লক্ষ অনুগামী রয়েছেন। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন তো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় লক্ষ লক্ষ লোকের ভিড় হয়। আমাদের দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চলে। এত বড় দল, যদি আমি বা অন্য কেউ না থাকি, তা হলে দলে তার কোনও প্রভাব পড়বে না।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.