দার্জিলিং থেকে দিঘা, শুভেন্দুর পিছনে লাইনে তৃণমূলের অগুনতি সাংসদ-বিধায়ক, চাঞ্চল্যকর দাবি কনিষ্কর
শুভেন্দুর মহাপতনে প্রমাদ গুণছে তৃণমূল। উথাল পাথাল বঙ্গের রাজনৈতিক মহল। শুভেন্দুর পথ অনুসরণ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক সাংসদ-বিধায়ক, নেতা। এমনই চাঞ্চল্য কর দাবি করেছেন দাদার অনুগামী কনিষ্ক পণ্ডা। শুভেন্দুর অনুগামী হওয়ায় আগেই দল তাঁকে বহিষ্কার করেছে। তিনি দাবি করেছেন শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের প্রায় ৭০ থেকে ৭২ জন বিধায়ক, ১০ থেকে ১২ জন সাংসদ বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। তার ক্ষেত্র ইতিমধ্যেই প্রস্তুত হতে শুরু করেছে।

তৃণমূল ছাড়লেন শুভেন্দু
বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার পর তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। দলের সঙ্গে শেষ সম্পর্কটাও ছিন্ন করলেন তিনি। দলনেত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা পারদ চড়েছে। সূত্রের খবর শনিবার মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভাতেই বিজেপিতে যোগ দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই মঞ্চেই তৃণমূলের মহাপতনের সূচণা হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন দাদার অনুগামী কনিষ্ক পণ্ডা।

শুভেন্দুর পথে অনেকেই
শুভেন্দুর দল ছাড়ার পর থেকেই তৃণমূল শিবিরে বিদ্রোহ তুঙ্গে উঠেছে। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই শুভেন্দু কাঁকসায় সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি সহ পূর্ব বর্ধমানের একাধিক নেতা। শুভেন্দু দল ছাড়া অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। কনিষ্ক পণ্ডা দাবি করেছেন, শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যেতে চলেছেন ৭০ থেকে ৭২ জন বিধায়ক, ১০ থেকে ১২ জন সাংসদ এবং ৪ থেকে ৫ জন তৃণমূল জেলা সভাপতিও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কনিষ্ক পণ্ডার এই দাবির দিনই প্রথমে আসানসোলের পুর প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। পরে তৃণমূল ছাড়ার কথাও ঘোষণা করেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক।

দলভাঙানোর অভিযোগ তৃণমূলের
গতকাল উত্তরবঙ্গে কোচবিহারের সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী অভিযোগ করেছেলিনেন দল ভাঙাচ্ছে বিজেপি। নেতাদের ফোন করা হচ্ছে। অনুব্রত মণ্ডল এবং সুব্রত বক্সির কাছেও ফোন এসেছিল। মমতাকে এই নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন পিকে-র দল বিজেপি নেতাদের ফোন করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু বিজেপির বুথ স্তরের নেতারাও তৃণমূলে যেতে চাইছে না।

ইস্তফা আর বিদ্রোহ বাড়ছে তৃণমূলে
শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেবেন ইঙ্গিত পাওয়ার পর থেকেই তৃণমূলে বিদ্রোহ বাড়তে শুরু করেছে। মিহির গোস্বামী আগেই দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এবার শীলভদ্র দত্তও মুকুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন তিনি। শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের পরেই দল ছেড়েছেন কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী। এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তিনি। সাংসদ সুনীল মণ্ডল তো পা বাড়িয়েই আছেন।