বিধায়ক পদ ছাড়ার পর প্রথম জনসভা 'ব্যস্ত' শুভেন্দুর! তৃণমূলকে বিঁধে কী বললেন 'দাদা'?
যারা ইতিহাস জানে না, তারা চলে আসে ভোট চাইতে। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আজ এভাবেই নাম না করে তৃণমূলকে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখিত, গতকালই বিধানসভায় গিয়ে রিসিভিং সেকশনে ইস্তফাপত্র জমা দেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই আজ তাঁর প্রথম জনসভা। যদিও অরাজনৈতিক সভা থেকে সরাসরি কোনও কথা বলেননি শুভেন্দু। তিনি এদিন বলেন তিনি খুবই ব্যস্ত। তাই পদযাত্রাটিকেও ছোটো করা হয়।

আজকের সভা থেকে তিনি কী বার্তা দেন
আজকের সভা থেকে তিনি কী বার্তা দেন, সেদিকেই নজর রেখেছিল রাজনৈতিক মহল। এদিন খুব একটা কিছউ না বললেও খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। এদিন তিনি বলেন, যারা মাতঙ্গিনি হাজরার কথা জানে না, যারা ক্ষুদিরাম বসুর ইতিহাস জানে না, যারা তম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের ইতিহাস জানে না, তারা চলে আসে ভোট চাইতে।

ক্ষুদ্র রাজনৈতিক পরিসর ছেড়ে কাজ করতে হবে
শুভেন্দু অধিকারী এদিন স্পষ্ট বার্তায় বলেন, ক্ষুদ্র রাজনৈতিক পরিসর ছেড়ে বেরিয়ে কাজ করতে হবে। ইতিহাস জানে না এথছ ভেঙে দেওয়া, গুড়িয়ে দেওয়ার বার্তা দেয় অনেকে। পরিসরটা বাড়াতে হবে, ব্যাপ্তিটা বাড়াতে হবে। গণ্ডির বাইরেও একটি বড় এলাকা আছে।

কাঁথিতে পার্টি অফিস দখল তৃণমূলের
এদিন আবার কাঁথিতে পার্টি অফিস দখল নিয়ে উত্তপ্ত হয় পরিবেশ। যেই অফিসে গেরুয়া রঙ নিয়ে শুরু জল্পনা শুরু হয়েছিল, কাঁথিতে শুভেন্দুর সেই পার্টি অফিস দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। সরাসরি শুভেন্দু নাম ব্যবহার করে সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছিল অধিকারী পরিবারের ‘গড়' হিসেবে পরিচিত কাঁথি পুর এলাকায়। সেই অফিসের রঙ ছিল গেরুয়া। এদিন সেটিকে নীল-সাদা রঙ করে দখল করে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস।

দিল্লি যাবেন না শুভেন্দু!
এদিকে সূত্রের খবর, শুভেন্দু দিল্লি নাও যেতে পারেন। মেদিনীপুরের কলেজ মাঠেই অমিত শাহের বিশাল জন সমাবেশে শুভেন্দু এবং সুনীল মণ্ডল বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। সেই সমাবেশে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন আরও ৭-৮ জন বিধায়ক। এদিতে জিতেন্দ্র তিওয়ারিও সেদিন বিজেপিতে যোগ দিতে চান বলে খবর।
শুভেন্দু ঝড়ে সংগঠনে ধস, 'দাদার' বিদায়ের পরই মালদা থেকে নিশ্চিহ্ন হবে তৃণমূল?