স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: নির্বাচনের আগে দু’টো থেকে দশটা বিধায়ক চলে গেলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। আমাদের কয়েক লক্ষ সদস্য রয়েছে। বৃহস্পতিবার সাফ জানিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
শুভেন্দু অধিকারী ও জিতেন্দ্র তিওয়ারির ইস্তফা নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। দাপুটে দুই নেতার পরবর্তী পদক্ষেপের অপেক্ষায় প্রত্যেকেই। বিজেপি যোগের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা জারি সব মহলে।এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে বসে অভয় দিলেন বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুটো থেকে দশটা বিধায়ক নির্বাচনের আগে চলে গেলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। তিনি বলেন, কেউ এত বড় বীর নয় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে দিলে দলটা উঠে যাবে। কারণ আমরা দলের জন্য নয়, মানুষের জন্য কাজ করি।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেন, ‘দলের হাজার কর্মী আছেন, লক্ষ লক্ষ অনুগামী রয়েছেন। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন তো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় লক্ষ লক্ষ লোকের ভিড় হয়। আমাদের দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চলে। এত বড় দল, যদি আমি বা অন্য কেউ না থাকি, তা হলে দলে তার কোনও প্রভাব পড়বে না।’
এদিকে দলের ভাঙনের মাঝেই এদিন তারাপীঠে পুজো দিলেন অনুব্রত মণ্ডল৷ পুজো দিয়ে বেরিয়ে নাম না করেই শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, “যারা ধান্দাবাজ তারা যাবে। নেতা গেলে কিছু হবে না। কর্মীরাই নেতা তৈরি করে। নেতারা কর্মী তৈরি করে না।” এরপরই জানান, মায়ের কাছে ২২৫ টি আসন চেয়েছেন তিনি। এবং তিনি নিশ্চিত বাংলায় ফের তৃণমূলই সরকার গঠন করবে। এদিন সন্ধেয় রাজ্যের মন্ত্রী তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন অনুব্রত।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ত্যাগের জল্পনা শুরু হওয়ার পর একে একে অনেক নেতাই দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। শুভেন্দু বিধায়ক পদ ত্যাগের পর এক ধাক্কায় ইস্তফা দিয়েছেন একাধিক নেতা। গুঞ্জন ছড়িয়েছে বীরভূমের দুই মন্ত্রীও দলবদল করতে চলেছেন। তাঁদের মধ্যেই একজন আশিসবাবু। মনে করা হচ্ছে, সেই কথা প্রকাশ্যে আসার কারণেই এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলে অভাব-অভিযোগ শোনেন অনুব্রত।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.