দুস্থ ও মেধাবী অন্ধ ছাত্রের চোখ ফিরিয়ে দিলেন সাংসদ দেব
মেধাবী। কিন্তু নুন আনতে পান্তা ফুরায় পরিবারের অবস্থা। যেখানে দুবেলা-দুমুঠো ঠিকমত খেতে পায়না সেখানে এত টাকা খরচা করে চোখের চিকিৎসা কিভাবে করবে তাই দীর্ঘদিন ধরেই ডান চোখে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা টাউন থানার কাসন্ড গ্রামের মাদ্রাসার স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সাব্বির খান।

চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সাব্বিরের চিকিৎসা করতে খরচ প্রায় ১ লক্ষ টাকা। একটি মেজর অপারেশন করাতে হবে তার চোখে। কিন্তু সে অতি দরিদ্র পরিবারের ছেলে। তাই তার পরিবারের লোকেরা সাব্বিরের চিকিৎসা করতে পারেনি।
সাব্বিরের প্রতিবেশী সাহেব মল্লিক সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাব্বিরের চিকিৎসার জন্য টুইটারে আবেদন জানান।
সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব বিষয়টি জানার পর তার প্রতিনিধি কে দ্রুত ওই গ্রামে পাঠায়। দেবের প্রতিনিধি সাব্বিরের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাযের সাথে কথা বলে আশ্বাস দেন যে দেব সাব্বির এর চিকিৎসা করবে।
তাই দেবের প্রতিনিধি তাকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে বাড়ি পাঠাবে বলে জানায়। প্রথমে কেমন কেমন মনে করলেও দেবের কথা শুনে তারা সাব্বিরকে কলকাতা পাঠাবে বলে দেব এর প্রতিনিধিকে জানায়। দেব সব কিছু ঠিক করে কাসন্ড গ্রাম থেকে সাব্বির খানকে কলকাতায় নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকদিন রেখে ডাক্তার দেখিয়ে তার চোখ অপারেশন করিয়ে তাকে সুস্থ করে তোলে।
তার চোখের চিকিৎসা করাতে ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে সাব্বিরের পরিবার জানায়। সমস্ত খরচ বহন করেছে সাংসদ দেব। সুস্থ হয়ে নিজের বাড়ি ফিরে আসে সাব্বির খান। বাড়ি ফিরে সে জানায় সে এখন সুস্থ এখন দুই চোখে দেখতে পায়। এবার মন দিয়ে পড়াশোনা করবে। দেব কাকু যেভাবে আমাকে দৃষ্টি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন আমি সারা জীবনের জন্য দেব কাকুর কাছে কৃতজ্ঞ। দেব কাকু কে আমার শতকোটি প্রণাম জানাই ।তিনি আমার মত অসহায় দরিদ্র পরিবারের একটি ছেলের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছেন তার জন্য সাব্বিরের পরিবারের সকলেই খুশি। সাব্বিরের বাবা বলেন বহু মানুষকে দেখেছি, কিন্তু দেবের মত মানুষকে দেখে নি। তাই দেব এর ভূমিকায় খুশি সাব্বিরের পরিবার সহ গোটা গ্রাম।