সমান্তরাল আলোচনা নয়, সুপ্রিম নির্দেশের পর কেন্দ্রকে কড়া হুঁশিয়ারি কৃষকদের!
অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে হবে। না হলে ক্রমে তা জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। কৃষক আন্দোলন নিয়ে এমনটাই পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের। সমস্যার সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠনের পরামর্শও দেওয়া হয়। এরই মাঝে এবার কৃষকদের তরফে কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, সমন্তরাল আলোচনা চলতে পারে না এভাবে।

কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত দিল্লি সীমান্ত
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত দিল্লি সীমান্ত। বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হরিয়ানা, পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের একাধিক কৃষক। ভারতের গণ্ডি ছেড়ে ইতিমধ্যেই এই আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে একাধিক দেশেই। এদিকে যখন কেন্দ্রের সাফ বক্তব্য, আলোচনার ভিত্তিতে সংশোধনের পথ খোলা। তবে আলোচনার পথ খুলে রাখলেও কৃষি আইন একেবারে যে প্রত্যাহার করা হবে না, তা সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মোদী সরকারের তরফে।

১০টি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসে কেন্দ্র
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। এমনকী তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। তবে এরই মধ্যে ৬টি রাজ্যের ১০টি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসে কেন্দ্র। এই সংগঠনগুলি কৃষি আইনকে সমর্থন করে। তাছাড়া উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানার কৃষকদের সঙ্গেও বৈঠক করে কেন্দ্র। এই সকল বৈঠকে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারী কৃষকরা। এবং এই সকল বৈঠক বন্ধের দাবি তুলেছেন তাঁরা।

আপনাদের আলোচনা ফের ব্যর্থ হবে : সুপ্রিমকোর্ট
এদিকে কৃষক আন্দোলন সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেন, 'এই ভাবে চললে আপনাদের আলোচনা ফের ব্যর্থ হবে। ওঁরা রাজি হবেন না। তাই আমাদের এমন একটি প্রতিষ্ঠানের নাম বলুন, যে সামনে আসতে পারে। না হলে এটা শীঘ্রই জাতীয় সমস্যা হয়ে উঠবে।'

সমস্যা সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠন
সমস্যার সমাধানে, বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের পরামর্শও দিয়েছেন প্রধান বিচারপত। বলেন, 'এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হোক। সেখানে সরকার ও কৃষকদের প্রতিনিধিরা থাকবেন।' এছাড়া দিল্লি, পঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারকেও এই বিষয়ে নিজেদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে।