তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়াঃ একের পর এক ধাক্কা! এবার তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিলেন বাঁকুড়ার তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা, প্রাক্তন পুর-প্রধান, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। একই সঙ্গে এসডিপিও বিষ্ণুপুরকে লিখিতভাবে তাঁর সরকারী নিরাপত্তা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার তিনি তাঁর ইস্তফা পত্র জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পদত্যাগ তৃণমূলের কাছে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জেলা তৃণমূলের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু দিন ধরেই শাসক দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল। সম্প্রতি বিষ্ণুপুর পুরসভার ‘প্রশাসক’ পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় এই বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতাকে। প্রায় ৩৪ বছর পর পুরসভা থেকে ‘বিদায়’ নিতে হয় তাঁকে। দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
সেখানে তিনি বলেন, এসডিপিওকে সরকারী নিরাপত্তা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছি। একই সঙ্গে ‘আমাকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি, বাধা দেওয়া হয়েছে’। তাই জেলা সভাপতির কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।
যদিও সেই সময় অফিসে কেউ ছিল না বলে জানিয়েছেন বর্ষীয়ান ওই নেতা। জনৈক গৌতম বাবু জমা নিয়েছেন, কিন্তু তিনি ‘রিসিভ’ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন বলে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় দাবি করেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার কেন তৃণমূলে কারোরই প্রাথমিক সদস্যপদ নেই’। এরপরেই নিজেকে ‘শুভেন্দু অনুগামী’ দাবি করে তাঁকে বিগত দেড় বছর দল কাজ করতে দেয়নি। ‘শুভেন্দু বাবুর বক্তব্যই তার বক্তব্য’ বলে তিনি দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী ও জিতেন্দ্র তিওয়ারির পর তৃণমূল ছাড়লেন আরও অনেকে৷ ২০২১ এর ভোটের আগে এই তালিকাটা অনেক বড় হবে বলে দাবি বিজেপির৷ সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তৃণমূল ছাড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি৷ পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকেও একের পর এক তৃণমূল নেতা দল ছাড়ছেন বলে খবর৷ এদের মধ্যে শিলিগুড়িতে যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর অরোরা, মালদার হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দ্রোণাচার্য ব্যানার্জি। এবং দুর্গাপুর নগর নিগমের বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর ব্যানার্জি৷ ইতিমধ্যেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন৷