নয়াদিল্লি : ক্রমশ চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের ওপর। জোরদার হচ্ছে কৃষক বিক্ষোভ। তবে ভাঙবে তবু মচকাবে না নীতিতে আটকে কেন্দ্র। কৃষক বিক্ষোভকে তেমন আমল দিতে নারাজ কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। বুধবার তিনি বলেন কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে বেশি মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। কারণ এই বিক্ষোভ দেশের মাত্র একটা রাজ্যেই সীমাবদ্ধ।

এদিন তোমর বলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ খুবই ব্যতিক্রমী ঘটনা। গোটা দেশ কেন্দ্রের মোদী সরকারের পাশে রয়েছে। সবাই কৃষি বিলকে সমর্থন করেছে। তাই এই বিক্ষোভের সমাধানও খুব দ্রুত কেন্দ্র করে ফেলবে। এই কৃষি বিল কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করবে, এই বিষয়টিই বোঝাতে হবে তাঁদের। কোথাও ভুল বোঝাবুঝির জন্যই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।

তোমরের মতে একদিকে যেমন দিল্লি সীমান্তে কৃষকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তেমনই দেশের অন্যান্য রাজ্যের লক্ষ লক্ষ কৃষকরাও রয়েছেন, যারা এই বিক্ষোভে যোগ দেননি। তাঁরা এই বিলকে সমর্থন করেছেন।

নয়া কৃষি আইন নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে কেন্দ্রীয় সরকার। একদিকে, কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকরা। আইন বাতিল না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি কৃষক সংগঠনের। ইতিমধ্যেই কৃষকদের সমর্থনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আওয়াজ তুলেছে রাজনৈতিক দল, সংগঠন থেকে শুরু করে খ্যাতনামা ব্যক্তিরা। নয়া আইন বাতিলের দাবিতে একটানা প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে দিল্লিতে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন লক্ষ-লক্ষ কৃষক।

এদিকে, কৃষি আইন নিয়ে মোদী সরকারের অস্বস্তি বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছেন আন্না হাজারে। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন আন্না। কৃষকদের সমস্যা না মেটালে অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই কৃষকদের সমস্যা মেটানোর দাবিতে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরকে চিঠি দিয়েছেন আন্না।

প্রবল শীত উপেক্ষা করেই দিল্লির দরবারে কৃষকরা। নাছোড় মনোভাব নিয়েই এবার দেশজুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি। ইতিমধ্যেই কৃষি আইনে সংশোধনী আনার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। সরাসরি সেই প্রস্তাব নাকচ করেছে কৃষক সংগঠনগুলি। উল্টে আন্দোলনের সুর এখন আরও চড়া। সোমবার একদিনের প্রতীকী অনশন পালন করেন কৃষকরা। কৃষকদের সঙ্গে প্রতীকী অনশনে কৃষকদের সঙ্গে যোগ দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।

যদিও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কৃষকদের লাগাতার আন্দোলনে সমর্থনকারী একাধিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিদের কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। তিনি বলেন, ‘‘কৃষকদের আন্দোলনে চাষিরা নয়, মোদী-বিরোধীরা সামিল হয়েছেন।’’

অতিমারীর এক বছর কেটে গেলেও অমানবিকতার ছবি আজও সামনে আসছে ।সচেতন ও মানবিক হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন কারডিওলজিস্ট বিনায়ক দেব।