স্টাফ রিপোর্টার, নন্দীগ্রাম : শুক্রবার কিংবা শনিবারেই বিজেপিতে শুভেন্দু! এমনটাই জল্পনা। তবে এখন রাজ্য-রাজনীতি আরও বড় প্রশ্ন, শুভেন্দু অধিকারী গেলে তাঁর সঙ্গে কে কে যাবেন বিজেপিতে? কার্যত প্রত্যেকদিনই ঘরে বিদ্রোহ। আর এই অবস্থায় এবার শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হওয়াতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি এবং সুতাহাটা ব্লক যুব সভাপতিকে পদ থেকে বরখাস্ত করল দল।
শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান ইতিমধ্যেই বিজেপির দিকে মোড় নিয়েছে। বুধবার তমলুক পূর্ব মেদিনীপুর জেলার যুব সভাপতি পার্থসারথি মাইতি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেন যে কিছু সমস্যার জন্য রাজ্য নির্দেশে কোলাঘাট ব্লক যুব সভাপতি রাজু কুন্ডু, এবং সুতাহাটা ব্লক যুব সভাপতি মহাপ্রসাদ প্রাত্র পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান জেলা যুব সভাপতি।
যদিও এই দুই নেতাকে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হওয়াতে পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এদিকে কোলাঘাটের নতুন ব্লক যুব সভাপতি হলেন অসীম মাজি এবং সুতাহাটা ব্লকের নতুন ব্লক যুব সভাপতি হলেন অভিশেক দাস।
প্রসঙ্গত, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ ছাড়লেন শুভেন্দু। আর ইস্তফা দেওয়াতে তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক শেষ অরে দিলেন শুভেন্দু! প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ তিনি বিধানসভায় পৌঁছন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। নিয়ম অনুযায়ী, নিজের হাতে লিখে পদত্যাগপত্র দাখিল করেছেন তিনি।
তবে এদিন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় না থাকায় তাঁর সচিব অভিজিৎ সোমের কাছে ইস্তফাপত্র দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। হাতে লেখা ইস্তফাপত্রে শুভেন্দু অনুরোধ করেছেন দ্রুত তাঁর পদত্যাগ যাতে গ্রহণ করা হয়।
বিধানসভায় এদিন অধ্যক্ষ না থাকায় তাঁকে ই–মেল করে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন শুভেন্দু। বিধানসভার অধ্যক্ষ এ ব্যাপারে আরও জানিয়েছেন, আপাতত শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র গৃহীত হচ্ছে না। যে ভাবে বিধানসভার সচিবের কাছে শুভেন্দু অধিকারী ইস্তফাপত্র দাখিল করেছেন তা বৈধ নয়।
এভাবে সচিবের কাছে ইস্তফাপত্র দেওয়া যায় না। এবং ইস্তফাপত্র গ্রহণের ক্ষেত্রে সচিবেরও কোনও এক্তিয়ার নেই। শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হবে কিনা সে ব্যাপারে পরবর্তীকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।