পাহাড়ে মমতাকে পাল্টা প্যাচ দিতে চলেছে বিজেপি, প্রস্তুতি সম্পূর্ণ
বিমল গুরুংরা ( bimal gurung) তৃণমূলের (trinamool congress) কাছাকাছি আসতেই বিনয় তামাং (binoy tamang) বলেছিলেন, পাহাড়ের (darjeeling) রাজনীতিতে ওদের (বিমল গুরুং) কোনও জায়গা নেই। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের সঙ্গে বিমল গুরুংদের সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিও বসে নেই। তারাও হাত বাড়িয়েছে একটা সময়ে মমতা ঘনিষ্ঠ বিনয় তামাং, অনিত থাপাদের দিকে।

'দিদি'র ফোনেও হল না কাজ, শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকে জিতেন্দ্র! আর কারা গেলেন সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে

বিনয়-অনিতের সঙ্গে বৈঠক বিজেপির
পরিস্থিতির পরিবর্তনে বিনয়-অনিতদের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ হয়েছিল। এবার সামনাসামনি বৈঠক। সূত্রের খবর অনুযায়ী এদিন বিনয় তামাং, অনিত থাপাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। সেখানেই তাঁদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

গুরুত্বে রাজি নয় তৃণমূল
যদিও পাহাড়ে রাজনীতির এই পরিবর্তনকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল। তারা জানিয়েছে, বিনয় তামাংদের থেকে পাহাড়ে বিমল গুরুংদের প্রভাব অনেকটাই বেশি। অতীতেও দেখা গিয়েছে গুরুংরা যেদিকে থেকেছেন, তারাই জয়ী হয়েছে। তাই শাসকদল ধরেই নিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড় ও ডুয়ার্সে এর ফল তারা পাবে।

পাহাড়ে অশান্তির পরেই গুরুং গিয়েছিলেন বিজেপির দিকে
২০১৭ সালে অশান্তির পরে পাহাড় ছাড়া হতে হয়েছিল বিমল গুরুং, রোশন গিরিদের। তাদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলাও করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই সময় বিমল গুরং ঘনিষ্ঠ বিনয় তামাংদের ক্ষমতার টোপ দিয়ে কাছে টেনে নেয় রাজ্যের শাসকদল। অন্যদিকে বিমল গুরুংরা চলে যান বিজেপির দিকে। দিন কয়েক আগে বিমল গুরুং দাবি করেছেন, অজ্ঞাতবাসে থাকাকালীন অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেছিলেন তিনি। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সময় পাহাড়ে না থাকলেও বিমল গুরুং বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছিলেন। রাজনৈতিক মহল জানাচ্ছে, তৃণমূলে পক্ষে থাকা বিনয় তামাংদের প্রভাব এব্যাপারে কোনও কাজ করেনি।

গুরুংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ তৃণমূলের
আগে নানা কথা শোনা গেলেও দুর্গাপুজোর পঞ্চমীতে গুরুংয়ের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদের সেতুবন্ধনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গুরুং বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, তাই করেন। কিন্তু বিজেপি যা প্রতিশ্রুতি দেয়, তা পালন করে না। তখন থেকে অখুশি ছিলেন পাহাড়ে ক্ষমতায় থাকা বিনয় তামাংরা। তিনি বলেই দিয়েছিলেন বিমল গুরংদের সঙ্গে পাহাড়ের মঞ্চ ভাগাভাগির কোনও প্রশ্ন নেই। পাহাড়ের রাজনীতিতে বিমল গুরুংদের কোনও জায়গা নেই বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে বিনয় তামাং এবং জিটিএ প্রধানকে নিয়ে নবান্নে বৈঠকও করেন। কিন্তু তাতেও বিনয় তামাংদের মনে অসন্তুষ্টি রয়ে গিয়েছিল।