ক্ষমতা থাকলে বিধানসভা নির্বাচন আটকাতেন দিদিমনি! কলকাতার পরিস্থিতি ইরাক, ইরানের মতো, বিস্ফোরক দিলীপ
একাধিকবার রাজ্যের পরিস্থিতিকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। মুকুল রায় (mukul roy) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা টেনেছিলেন হিটলার, মুসোলিনির সঙ্গে। এবার রাজ্যের পরিস্থিতির সঙ্গে ইরাক ও ইরানের তুলনা করলেন দিলীপ ঘোষ।

ক্ষমতা থাকলে বিধানসভা নির্বাচন আটকাতেন দিদিমনি
এদিন সকালে বউবাজারে চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই চায়ে পে চর্চা থেকেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন তিনি। কলকাতায় পুরভোট করা নিয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই সম্পর্কে তিনি বলেন, শুধু কলকাতায় কেন, দম থাকলে সব জায়গায় পুরভোট করুন। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, একবছরের বেশি সময় নির্বাচন বকেয়া পড়ে রয়েছে। কাশ্মীরে নির্বাচন হতে পারলে এখানে কেন নির্বাচন হবে না, প্রশ্ন করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, যদি বিধানসভা নির্বাচন করানোর বিষয়টি দিদির হাতে থাকতো, তাহলে তিনি তা আটকে দিতেন।

চাপের ঠেলায় রোগা হয়েছেন দিদিমনি
এদিনের চায়ে পে চর্চা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, দেখছেন তো চাপের ঠৈলায় দিদিমনি কেমন রোগা হয়ে গিয়েছেন। এদিন তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও কটাক্ষ করেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, পুলিশ ভাবছে প্রমোশন হবে, তাই অতি উৎসাহ নিয়ে কাজ করছে। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, প্রমোশন না ডিমোশন তা নিজেরাই দেখতে পারেন তারা।

নেতাদের কলার ধরতে ডাক
শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, তৃণমূলের বড়, মেজো, সেজো নেতাদের প্রতিও আক্রমণ শানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া খারিজ হওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করার পাশাপাশি নিশানায় এনেছেন তৃণমূল নেতাদের। তিনি বলেছেন, প্যানেলে নাম তোলার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছিল নেতারা। দিলীপ ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষ চাকরির আশায় যাঁদের টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদের কলার ধরুন কেন চাকরি হল না, এই প্রশ্ন করে।

স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড না ঢপের চপ
রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড না ঢপের চপ। বলেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন এই কার্ড নিয়ে হাসপাতালে গেলে বলবে, বেরিয়ে যেতে। তিনি বলেন, যে আলু ৫ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা, সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। সব কাটমানি কালীঘাটে যাচ্ছে বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, আম্ফানের পর সরকার কোনও কাজ করেনি। একটা গাছও সরাতে পারেনি। কলকাতার পুরসভার কাজে গাফিলতির অভিযোগও তিনি তুলেছেন।
সম্প্রতি বীরভূমে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, মমতার বাংলা এখন দ্বিতীয় কাশ্মীর হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, রাজ্যের সব থেকে উপদ্রুত জেলা হল বীরভূম। অন্যদিকে মুকুল রায় বলেছিলেন, রাজ্য সরকার নিজের হাতে গলা টিপে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তিনি বলেছিলেন, এমন স্বৈরাচারী সরকার দেখেননি। তিনি আরও বলেছিলেন, হিটলার পারেননি, মুসোলিনি পারেননি, দিদিও পারবেন না। কেননা ইতিহাস অত্যাচারীদের বরদাস্ত করেনি।
শুভেন্দুর হাত ধরে আরও ২৫ জন নেতা যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে! বাড়ছে জল্পনা