নয়াদিল্লি: এখনও ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি৷ কিন্তু ভোটের আগে থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি৷

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বিপর্যস্ত–এই অভিযোগ জানিয়ে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিলেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত,বঙ্গ বিজেপির সম্পাদক সব্যসাচী দত্ত, বিজেপি নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক শিশির বাজোরিয়া ও লকেট চট্টোপাধ্যায়৷

মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে বিজেপির দেওয়া দাবিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এই পুলিশ-প্রশাসন থাকলে রাজ্যে সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই শুধু ভোটগ্রহণের সময় নয়, নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক৷’

বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সব্যসাচী দত্তের অভিযোগ,‘বাংলার পরিস্থিতি কাশ্মীরের চেয়েও খারাপ। আমরা চাই, এখানে দ্রুত নির্বাচনী বিধি লাগু করা হোক।’ এ প্রসঙ্গে তিনি ভারতীয় সংবিধানের বিশেষ ধারার কথাও উল্লেখ করেছেন।

এর আগে বীরভূমে কৈলাস বিজয়বর্গীয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন,‘বাংলায় আতঙ্ক ছড়াতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওঁর পায়ের তলা থেকে জমি সরে গিয়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছেন।

আমার মনে হয়, বাংলার সংস্কৃতিতে আতঙ্ক বা ভয় বেমানান। মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে সে জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করব। এও আর্জি করব, আতঙ্ক ও হিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে এখন থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করুন।’

তাছাড়া গত মাসে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে৷ বাংলায় একুশের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এই চিঠি৷

সূত্রের খবর, বাংলায় কত বাহিনী ,কত কপ্টার প্রয়োজন, জানতে চায় দিল্লি৷ তার জবাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চিঠি রাজ্যের CEO (মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্য্যালয়) দফতরের৷ স্ট্যান্ডার্ড প্রোটোকল বা SOP মেনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সওয়াল৷ ৷

বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। মনে করা হচ্ছে মার্চেই হতে পারে বাংলায় বিধানসভা ভোট। যদিও তার আগেই বাংলায় ভোটের দামামা বাজিয়ে দিল কমিশন। সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছেই এই ভোট প্রেস্টিজিয়াস ফাইট। তবে করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে এই ভোট হবে সেটাই চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের কাছে।

অতিমারীর এক বছর কেটে গেলেও অমানবিকতার ছবি আজও সামনে আসছে ।সচেতন ও মানবিক হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন কারডিওলজিস্ট বিনায়ক দেব।