সরকারি ছুটির সংখ্যা বাড়ল ক্যালেন্ডারে, নয়া ঘোষণায় চমক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো আরও একটি সরকারি ছুটির সংখ্যা বাড়ল রাজ্যে। এই নিয়ে সামনের বছর আরও তিনটি নতুন ছুটি পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার কোচবিহারে একটি কর্মিসভা করেন। সেখানেই নতুন একটি সরকারি ছুটির কথা ঘোষণা করেন তিনি।

তিনটি সরকারি ছুটি বাড়ছে ক্যালেন্ডারে
মমতা ঘোষণা করেন, কোচবিহারে সংস্কারক ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনেও ছুটি থাকবে সামনে বছর থেকে। এর আগে আদিবাসী নেতা বিরসা মুণ্ডা ও বনগাঁয় গিয়ে মতুয়া ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে এবার তিনটি সরকারি ছুটি বাড়ছে ক্যালেন্ডারে।

আদিবাসী নেতা বিরসা মুণ্ডার জন্মদিনে ছুটি
আদিবাসী নেতা বিরসা মুণ্ডার জন্মদিন ১৫ নভেম্বর সরকারি ছুটি থাকবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরসা মুণ্ডা ১৮৭৫ সালে ১৫ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন আদিবাসী ও সমাজ সংস্কারক। তৎকালীন ব্রিটিশ শাসকদের অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি আদিবাসী মুণ্ডাদের সংগঠিত করেছিলেন। বিদ্রোহীদের কাছে তিনি ভগবান-সম ছিলেন।

মতুয়া ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে ছুটি
এরপর মতুয়া ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৬ চৈত্র মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশীতে তাঁর জন্ম। বাংলা পঞ্জিকা মতে প্রতি বছর ৯ বা ১০ এপ্রিল ছুটি থাকবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। এবার ৯ এপ্রিল ছুচির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। হরিচাঁদ ঠাকুর মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রবর্তক ছিলেন। ওইদিনই বনগাঁ ঠাকুরবাড়ির মতুয়া ধামে মেলা শুরু হয়।

কোচবিহারের সংস্কারক ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে ছুটি
আর তিন নম্বর ছুটি হল কোচবিহারের সংস্কারক ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে। পঞ্চানন বর্মা ১৮৬৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাথাভাঙায় জন্মগ্রহণ করে। তিনি কোচবিহারের একজন রাজবংশী নেতা ও সমাজসংস্কারক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নিজের সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে ব্রাহ্মণ্য মূল্যবোধ ও রীতিনীতি জাগিয়ে তোলার জন্য তিনি একটি ক্ষত্রিয় সভা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।