'দিদি'র ফোনেও হল না কাজ, শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকে জিতেন্দ্র! আর কারা গেলেন সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে
উত্তরবঙ্গ থেকে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( mamata banerjee) ফোনেও কোনও কাজ হল না। এদিন সন্ধেয় পানাগড়ে সাংসদ সুনীল মণ্ডলের (sunil mondal) বাড়িতে গিয়ে হাজির হলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (jitendra tiwari) । কিছুক্ষণ পরেই সেখানে যান শুভেন্দু অধিকারী (subhendu adhikari)। সেখানে বিক্ষুব্ধদের ভিড়ে হাজির হয়েছেন বিভিন্ন জেলার অনেক নেতা। স্লোগান ওঠে জয় শ্রীরাম।

ইস্তফা দিয়েই পানাগড়ে শুভেন্দু
এদিন বিকেল চারটেয় রাজ্য বিধানসভায় গিয়ে বিধায়ক পদে নিজের পদত্যাগপত্র পেশ করেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও সেই ইস্তফা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি অধ্যক্ষ। শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার রিসিভিং সেকশনে গিয়ে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন। পাশাপাশি ইমেল করে অধ্যক্ষের কাছে পদত্যাগ পত্রের কপিও পাঠিয়ে দেন। এরপরেই স্পিকারের তরফে জানানো হয়, শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন, তা বৈধ নয়।
এদিন ইস্তফা দিয়েই গাড়ি নিয়ে পানাগড়ের দিকে যাত্রা শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী। সন্ধের পরে গিয়ে তিনি সেখানে পৌঁছন। তবে সেখানে আগে থেকেই হাজির ছিলেন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ বিধায়ক, জনপ্রতিনিধি এবং অন্য নেতারা।

দিদির ফোনেও হল না কাজ
এদিন উত্তরবঙ্গ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো ফোন করেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেখানে তিনি ১৮ তারিখে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বৈঠকের কথা বলেছিলেন। যদিও তাতেও কোনও কাজ হয়নি। এদিন সন্ধের পর পানাগড়ে সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে হাজির হন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

বৈঠকে দীপ্তাংশু চৌধুরীও
এদিনের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান দীপ্তাংশু চৌধুরী। করোনা আক্রান্ত হয়ে ফলতার তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের মৃত্যুর পরে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান করা হয়েছিল দীপ্তাংশু চৌধুরীকে।
তৃণমূলে থাকার সময়ে মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী। বিজেপিতেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৭-র ডিসেম্বরের শেষে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।

বৈঠকে আর যাঁরা উপস্থিত
সূত্রের খবর অনুযায়ী বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন, কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, মন্তেশ্বরের বিধায়ক সৈকত পাঁজা, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুরুল হাসান, দুর্গাপুরের ৪ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, গুসকরার বিদায়ী পুরসভার তৃণমূল সদস্য নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়।

গুরুত্বে রাজি নয় তৃণমূল
এদিকে এই বৈঠককে কোনও গুরুত্বহ দিতে রাজি হয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, যাঁরা যেতে চায় যাক। ধরে রাখার কিছু নেই। একটা পুকুর থেকে একবালতি জল তুলে নিলে কিছুই হয়না বলেও মন্তব্য করেছেন ফিরহাদ হাকিম।