আন্দোলনকারী কৃষকদের উপর সৃষ্টি হচ্ছে চাপ! তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত কেন্দ্রের তরফে
কৃষকদের আইনগুলি বুঝতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার তাদের পাশেই আছে সবসময়। এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়করি। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যটি এমন একটি সময় দেওয়া হল যখন আন্দোলনকারী কৃষকদের পাল্টা হিসাবে বেশ কয়েকটি রাজ্যের কৃষক সংগঠন আইনের সমর্থনে কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসে।

সমর্থন খুঁজছে কেন্দ্র
নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে ৬ রাজ্যের ১০ সংগঠনের আলোচনা হয় সোমবার। তাছাড়াও উত্তরাখণ্ডের ১০০ জন কৃষক এবং হরিয়ানার ২৯ জন কৃষক প্রতিনিধি দেখা করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে। এমনকী আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে ভাঙন। কৃষক নেতা ভানু দেখা করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে। এরপর তিনিও অবরোধ তুলে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন।

কৃষকদের উচিত এই আইনটিকে বোঝার চেষ্টা করা
এদিন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নীতীন গড়করি বলেন, 'কৃকদের উচিত কেন্দ্রের কাছে এসে আমাদের সঙ্গে বসে এই আইনটিকে বোঝার চেষ্টা করা। আমাদের সরকার চিরকালই কৃষকদের স্বার্থে উৎসর্গ। সরকার কৃষকদের থেকে পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত। আমাদের সরকার থাকাকালীন কোনও কৃষকদের বিরুদ্ধে অন্যায় হবে না।'

কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণ
এরপর তিনি বিরোধীদের তোপ দেগে বলেন, 'এরম অনেকেই আছেন যারা কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে এই আন্দোলন-বিক্ষোভকে ঘিরে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণ করছে। এটা ভুল, এরমটা করা উচিত। আবারও বলছি, কৃষকদের উচিত আমাদের সঙ্গে বসে এই তিনটি কৃষি আইনকে বোঝা উচিত। যদি কোনও আলোচনা না হয়, তাহলে আর কোনও সমাধান সূত্র কীভাবে বের হবে।'

আন্না হাজারে কি আন্দোলনে যোগ দেবেন?
এরপর আন্না হাজারে প্রসঙ্গে নীতীন গড়করি বলেন, 'আমার মনে হয় না যে আন্না হাজারে এই আন্দোলনে আন্না হাজারে যোগ দেবেন। আমরা এই আইন এনে কৃষকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই নেইনি। এটা কৃষকদের স্বাধীনতা দেওয়ার বিষয়। কৃষকরা স্বাধীন ভাবে নিজেদের ফলন যেখানে ইচ্ছে, সেখানে বিক্রি করার অধইকার রাখেন। যদি মন্ডিতে ইচ্ছে হয়, সেখানে ফসল বিক্রি করবেন, বা অন্য কোথাও বেশি দাম পেলে, সেখানে।'

যদি আলোচনা না হয়, তবে ভুল বোঝাবুঝি বাড়বে
এরপর কৃষকদের অনড় মনোভাব প্রসঙ্গে নীতীন গড়করি বলেন, 'যদি আলোচনা না হয়, তবে ভুল বোঝাবুঝি বাড়বে। এতে কারোর লাভ নেই। এতে জল্পনা এবং বিতর্ক বাড়বে। যদি আলোচনা হয়, তাহলে আমার বিশ্বাস অতিশীঘ্রই একটি সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে। কৃষকরা ন্যায়বিচার পাবেন। আমরা কৃষকদের স্বার্থেই কাজ করে চলেছি নিরন্তর।'
মমতা 'শূদ্র', অবুঝ! 'বহিরাগত' আক্রমণের বদলে বাংলায় জাতপাতের রাজনীতি বিজেপির?