নতুন ও দ্রুত ছড়িয়ে পড়া কোভিড–১৯ বাড়িয়েছে উদ্বেগ, কড়া লকডাউনের জালে গোটা ব্রিটেন
ব্রিটেনে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের কাজ। তাই এই দেশ এখন করোনা ভাইরাসের নিষেধাজ্ঞাগুলি আরও কড়াভাবে পালন করার পথে হাঁটতে চলেছে, যা শুরু হবে বুধবার থেকে। ব্রিটেন জুড়ে টায়ার–৩ বিধিনিষেধ প্রয়োগের সিদ্ধান্তটি স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক হাউস অফ কমন্সে ঘোষণা করেছিলেন।

হ্যানকক খুব জোর দিয়ে জানিয়েছেন যে গ্রেটার লন্ডন, কেন্ট ও এসেক্সে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাসের তীব্র বৃদ্ধির ফলে ব্রিটেনে এই কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এই নতুন ধরনের ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যার জেরে কিছু কিছু এলাকায় প্রত্যেক সাতদিন অন্তর অন্তর কেস দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন যে দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলক কাজ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নেওয়া প্রয়োজন।
ব্রিটিশ সাংসদদের হ্যানকক বলেন, 'ইংল্যান্ডের দক্ষিণে এ ধরনের ভাইরাসে হাজার জনের মতো আক্রান্ত হয়েছেন। এই কেসগুলি ৪০টি ভিন্ন ভিন্ন কর্তৃপক্ষের অন্তর্গত সনাক্ত হয়েছে।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু–এর শীর্ষ আধিকারিক মাইক রায়ান জেনেভাতে এই নতুন ভাইরাসের ধরনকে স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'আমরা অবগত এ ধরনের জিনগত নতুন ভাইরাসের বিষয়ে, ইংল্যান্ডে ১০০০ জন চিহ্নিত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, 'কর্তৃপক্ষ এর তাৎপর্যটি দেখছেন। আমরা এই ভাইরাসের বহু রূপ দেখেছি, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদল হয়।’ যদিও ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ বা হু কেউই এ বিষয়টি স্পষ্ট করে জানায়নি যে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর এই নতুন ভাইরাস কি প্রতিক্রিয়া করবে।
ইংল্যান্ডের থ্রি–টায়ার জরুরি পদ্ধতিতে দেশের বাসিন্দারা বাড়ির ভেতরে থেকেই উৎসব–অনুষ্ঠান পালন করবেন, যা বুধবার থেকে শুরু হতে চলেছে। এর সঙ্গে, পানশালা, পাব, রেস্তোরাঁ এবং খাওয়া–দাওয়ার জায়গাগুলি বন্ধ রাখা হবে। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী ব্রিটেনে ১৮,৫৪,৫০০ জন নিশ্চিত কোভিড–১৯ কেস রয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে ৬৪,২৬৮ জনের জীবন গিয়েছে।
আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি কৃষকরা! কোন শর্তে বরফ গলাতে রাজি আন্দোলনকারীরা?