শুভেন্দুর 'আমরা ভারতীয়, আমরা বাঙালি' থেকে 'বহিরাগত' ইস্যুতে ঝাঁঝাঁলো বার্তা! জল্পনা ফের উস্কে গেল
'মিলেমিশে গণতান্ত্রিক অবস্থান' এর পথ বেছে নিতে হবে, হলদিয়ার সভা থেকে একাধিক ইঙ্গিতবহ বার্তার মাঝে শুভেন্দুর এই মন্তব্য ঘিরে বাংলার রাজনৈতিক ইস্যুতে তুঙ্গে রয়েছে পারদ। এদিন সতীশ সামন্তর ১২১ বছর জন্ম বার্ষিকীরপূর্তি উপলক্ষ্য়ে হলদিয়ার সভা থেকে তিনি যেমন 'বহিরাগত' ইস্যু নিয়ে মুখ খোলেন তেমনই সিপিএম, টিএমসিকে তোপ দাগলেও, বিজেপির বিরুদ্ধে সেভাবে সরব হতে দেখা গেল না এই প্রাক্তনমন্ত্রীকে।

জওহরলাল নেহরুকে 'বহিরাগত' বললেননি সতীশ সামন্ত
এদিন বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশ সামন্ত সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ' জওহরলাল নেহরু প্রধানমন্ত্রী সব সম. সতীশবাবুকে সমীহ করে চলতেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যে ডেলিগেশন গিয়েছিল ভারতবর্ষ থেকে, সেই ডেলিগেশনে সতীশবাবুকে প্রতিনিধি করতেন। সতীশবাবু কথা বলতে এগিয়ে গেলেই, ভারত বর্ষের প্রধান মন্ত্রী উঠে দাঁড়াত। সতীশবাবু কখনও জওহরলাল নেহরুকে বহিরাগত বলে ভাবতেন না। আর পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুও কখনও সতীশ সামন্তকে অহিন্দিভাষী বলে ভাবতেন না। '

'ভারত মাতা ' প্রসঙ্গ
এরপর স্বামী বিবেকানন্দের ভারত মাতার প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই তিনি বলেন ভারতকে বাদ দিয়ে হলদিয়া নয়। 'আমরা ভারতীয় , আমরা বাঙালি, আমরা একসঙ্গে থাকব, আমরা একসঙ্গে করব।'

ব্যক্তি আক্রমণে বিশ্বাস করিনা থেকে সিপিএম, তৃণমূল টার্গেটে
এদিন শুভেন্দু খোলাখুলিই বলেন, তিনি ব্যক্তি আক্রমণে বিশ্বাস করেন না। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অনেকেই ব্যক্তি আক্রমণ করেছেন। এরপরই তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, যে জনসমাগম হলদিয়ার সভায় হয়েছে,তা কোনও সিপিএম বা টিএমসি দেয়নি। দিয়েছে তাঁর সঙ্গে মানুষের আত্মিক যোগ। এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে শুভেন্দুর অফিস গেরুয়া হওয়ার পর তিনি এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন, সুর চড়ালেন সিপিএমের বিরুদ্ধে, তবে বিজেপি বিরোধিতা তাঁর কণ্ঠে শোনা যায়নি।

মিলেমিশে অবস্থান
তিনি সাফ জানিয়েছেন এবার থেকে পার্টির উর্ধে মানুষের সেবা থাকবে। সব কিছুই পার্টি কেন্দ্রীক হতে পারে না বলে তিনি বার্তা দেন। পাশাপাশি মিলেমিশে গণঅবস্থানের কথা এদিন শুভেন্দু বলেন।