ফের শুভেন্দুকে বার্তা মমতার, কোটি কোটি গুন্ডা আনার হুমকি তৃণমূল সুপ্রিমোর
উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে জলপাইগুড়ির সভায় বিজেপিকে একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি অভিযোগ করেন, বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি। এরপর দল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো বা নাম লেখাতে চলা নেতাদের প্রতি বার্তা দিলেন মমতা।

জাতীয় সঙ্গীত পালটে দেখাক
এদিকে সম্প্রতি দেশের জাতীয় সঙ্গীত বদলের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি নেতা সুব্রমহ্মণ্যম স্বামী৷ এবার সেই প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি-কে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন , 'জাতীয় সঙ্গীত পালটে দেখাক। আমাদের মা-বোনেরাই রাস্তায় নেমে পড়বেন শঙ্খ নিয়ে।' সেইসঙ্গে বিজেপিকে ডাকাত বলেও আক্রমণ করেন তিনি।

শুভেন্দু-মিহিরকে বার্তা
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'যে সরকার ৩৬৫ দিন কাজ করে সেই সরকারকে দূরে সরিয়ে ক্ষমতার লোভে অন্য দলে যান, তাদের আমি ক্ষমা করব না। ক্ষমতায় থাকাকালীন তৃণমূল করে এখন অন্য দলে যাওয়া!' উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের বিধায় মিহির গোস্বামী সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দেন। এই বার্তা তাঁর উদ্দেশে ছিল। এছাড়া শুভেন্দু-বিজেপি যোগের জল্পনা তুঙ্গে ওঠায়, এই বার্তা তাঁরে বিঁধেও দিয়েছেন মমতা।

বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি। তিনি বলেন, মানুষে-মানুষে ভাগাভাগি করাই ওদের কাজ। কুৎসা ও হিংসার ধর্ম তৈরি করেছে বিজেপি। দাঙ্গা লাগিয়ে দিচ্ছে। কোথাও রাজবংশীর সঙ্গে বাঙালি। কোথাও বোড়োর সঙ্গে রাজবংশীর দাঙ্গা লাগিয়ে দিচ্ছে। আমিও প্রত্যাঘাত জানি। আমিও পাল্টা কোটি কোটি গুন্ডা নিয়ে আসতে পারি।'

প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রাখে না বিজেপি
মমতার অভিযোগ, 'প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রাখে না বিজেপি। চা বাগান খুলবে বলেও খোলেনি। ২ কোটি চাকরির কথা বলেছিল। ২ লাখ চাকরিও দেয়নি। বিজেপি চাকরির ফর্ম বিলি করছে। চাকরির ফর্ম বিলি করে কী হবে?' তিনি আরও বলেন , 'বিজেপির উদ্দেশ্য বাংলাকে গুজরাত বানানো। আমরা বাংলাকে গুজরাত বানাতে দেব না। রাজ্যের পুলিশকে ভয় দেখাচ্ছে ওরা।'

উন্নয়নের খতিয়ান
আজ জনসভায় তিনি জানান , আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে একাধিক কাজ করেছে তৃণমূল সরকার। সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়েছে। বলেন , 'আলিপুরদুয়ার জেলা ১০০ শতাংশ পরিষেবা পায়। জলপাইগুড়ি জেলায় উত্তরকন্যা, সার্কিট বেঞ্চ আছে। বেঙ্গল সাফারিটাও জলপাইগুড়িতে তৈরি হয়েছে। জয়ী সেতু রেডি হয়ে গেছে। জলপাইগুড়িতে বাকি কিছু নেই, সব করে দিয়েছি। আলিপুরদুয়ারেও নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি।' অন্যদিকে দীর্ঘদিনের দাবি মেনে ময়নাগুড়ি, ফালাকাটা পৌরসভা তৈরি এবং ক্রান্তি ও বানারহাট ব্লক তৈরির প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী । সেইসঙ্গে ছোটো-বড় না মেনে পুরানো-নতুন সকলকে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।