' নন্দীগ্রাম আন্দোলন কোনও দল বা ব্যক্তির নয়' থেকে 'বুঝবেন কিছুদিন পর' মন্তব্যে শুভেন্দুর হাইভোল্টেজ বার্তা
হলদিয়ার বুকে এদিন কার্যত একের পর এক ইস্যুতে নিডের অবস্থান স্পষ্ট করার কাজ শুরু করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সাফ বার্তায় তিনি বলেন, অনেকেই সভায় এসেছেন তাঁদের ইচ্ছায়, আর অনেককেই আসতে দাওয়া হয়নি 'শুভেন্দু অবস্থান স্পষ্ট করেনি ' বলে! আর এই বক্তব্যের শুরু তেই হলদিয়া পর্ষদের অট্টালিকা থেকে ব্যালটের ভোটব্যাঙ্ক পর্যন্ত একের পর এক ইস্যু নিয়ে তোপ দাগেন শুভেন্দু।

'অট্টালিকা' প্রসঙ্গ ও শুভেন্দু
বহুদিন ধরেই শুভেন্দুর 'প্যরাশ্যুটেও নামিনি আর লিফ্টে করেও আসিনি' মন্তব্যে মমতা ঘনিষ্ঠ কোনও নেতাকে খোঁচার গন্ধ পেয়েছেন অনেকেই। এদিন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদে ৫০ কোটি টাকার 'অট্টালিকা' প্রসঙ্গে শুভেন্দুর খোঁচা ফের নজর কেড়েছে। তিনি সাফ জানিয়েছেন, 'অট্টালিকায় ওঠা বসা ' তাঁর স্বভাব নয়। তাই হলদিয়া ভবনের নিচে একটি ঘরে তিনি বসে কাজ করেছেন।

'রইবে যাঁরা পিছু টানে, তাঁরা কাঁদবে'
শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন তাঁর সভায় যাঁরা এসেছেন ,তাঁদের অনেকতেই কেউ অনুপ্রাণিত হয়ে এসেছেন, আবার অনেককে বলা হয়েছে,শুভেন্দুর অবস্থান স্পষ্ট নয় তাই যাওয়া যাবে না। এরপরই শুভেন্দু অধিকারী বলেন,
'আপনারা শোনেননি , চৈরবেতি মন্ত্র আছে। রুখতে কেউ পারবে না। রইবে যাঁরা পিছুর টানে তাঁরা কাঁদবে। '

নন্দীগ্রাম আন্দোলন কারো একার নয়
এদিন, মেদিনীপুরের বুকে সতীশ সামন্তর অবদান প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন ভারত ছাড়ো আন্দোলনের কথা। সেখানে গান্ধীজির সঙ্গে মিলে সতীশবাবুর অবদান প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেনস, নন্দীগ্রাম আন্দোলন কারোর একার নয়, কোনও দল বা ব্যক্তির নয়, এই আন্দোলন মানুষের। প্রসঙ্গত.
নন্দীগ্রাম আন্দোলবের হাত ধরেই বাংলার বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন। সেই সময় নাম উঠে আসে শুভেন্দুরও। ধীরে ধীরে জনসমর্থন পায় তৃণমূল।

'বুঝবেন কিছুদিন পর..জনগণ চটঘেরা জায়গায় আঙুলটা যখন টিপবেন'
শুভেন্দু এদিন সাফ বার্তায় বলেন , 'বুঝবেন কিছুদিন পর..জনগণ চটঘেরা জায়গায় আঙুলটা যখন টিপবেন'। এরপরই তিনি নাম না করে বলেন, 'আপনাদের অবস্থাও অনিল বসু, বিনয় কোঙারদের মতো হবে'। ততক্ষণে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডের সভায় করতালিধ্বনি কার্যত আলাদা করে আওয়াজ চড়িয়ে দেয়।