লোকসভায় পাইনি, বিধানসভায় চাই! 'অং-বং-সং' জোটকে আক্রমণ করে আবেদন মমতার
জগাই-মাধাই নয়, এবার বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমকে এদিন অং-বং-সং বলে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি লোকসভার নির্বাচনে তৃণমূলের হারের ইতিহাস মুছে বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ভালো ফলের আশা ব্যক্ত করেন, ভোটারদের প্রতি আবেদন রাখেন।

বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম একসঙ্গে কাজ করছে
এদিন মমতা বলেন, 'বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম একসঙ্গে কাজ করছে। রামকৃষ্ণ কথামৃত পড়ছিলাম। সেখানেই লেখা ছিল অং-বং-সং। এই তিনটি দলও তাই। এৎা অং-বং-সং। এরা সকালে উঠে আমাকে গালি দিতে শুরু করে। ২০১৪ সালের ভোটে বলেছিল জিতলে ৭টি চা বাগান খুলে দেবে। কিন্তু খোলেনি। ২০১৯ লোকসভাতে আমি উত্তরবঙ্গ থেকে একটাও আসন পাইনি। তবে বিধানসভা নির্বাচনে কিন্তু আমি আপনাদের আশির্বাদ চাই।'

সব কাজ করে দেওয়া হয়েছে
এদিন মমতা বলেন, 'সব কাজ করে দেওয়া হয়েছে। একটা লোক ৮ বছরে আর কতটা করতে পারে! করোনার জন্যে একবছর নষ্ট। যা বাকি, সবাই দুয়ারে সরকারে কাছে যান। পেয়ে যাবেন। প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রাখে না বিজেপি। চা বাগান খুলবে বলেও খোলেনি। বিজেপি চাকরির ফর্ম বিলি করছে। কেন্দ্রে ২ কোটি চাকরির কথা বলেছিল বিজেপি। দুই লক্ষও দেয়নি। আর এখন ফর্ম বিলি করছে।'

বহিরাগতদের দিয়ে ঝামেলা করাচ্ছে বিজেপি
এদিন তিনি আরও বলেন, 'যে ক্ষমতায় থাকে, আর যে থাকে না, তাদের মধ্যে পার্থক্য আছে। বাইরের গুন্ডা নিয়ে ঝামেলা করে যাচ্ছে বিজেপি। চম্বলের বড় বড় ডাকাত এসে এখানে এই সব কাজ করছে। ভোট এলে গোর্খাল্যান্ড ইস্যু তোলে বিজেপি। গুরুংকে নিয়ে ৬ বছর বসেছিল বিজেপি। আমি খুশি ওরা ওদের ভুল বুঝতে পেরেছে।'

সারা বিশ্বে কেউ করতে পারবে না আমার মতো কাজ
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'সারা বিশ্বে কেউ করতে পারবে না। বিনা পয়সায় পড়াশোনা, রেশন সব কিছু। ওরা পরিযায়ী শ্রমিকদের তাড়িয়ে দিয়েছে। পরিযায়ীরা পায়ে হেঁটে এসেছে। কেন্দ্র এক পয়সাও দেয়নি। আমরা বাসে করে নিয়ে এসেছি সবাইকে। বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমেছে, দেশে সেটা ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

উত্তরবঙ্গে কাজের খতিয়ান
তিনি আরও বলেন, 'জলপাইগুড়ি জেলায় উত্তরকন্যা, সার্কিট বেঞ্চ আছে। বেঙ্গল সাফারিটাও জলপাইগুড়িতে তৈরি হয়েছে। জলপাইগুড়িতে বাকি কিছু নেই, সব করে দিয়েছি। আলিপুরদুয়ারে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে করে দেওয়া হচ্ছে।' জলপাইগুড়িতে সভার পর বিকেলে আনন্দচন্দ্র কলেজের মাঠে অস্থায়ীভাবে তৈরি হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে কোচবিহারের উদ্দেশে যান তিনি। পরের দিন কোচবিহারে সভা করবেন মমতা। বুধবার কলকাতা ফিরবেন তিনি।