করোনা রুখতে ‘২ গজের দুরত্ব’ যথেষ্ট নয়, দাবি নতুন সমীক্ষার
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পরা ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখা এই দুই প্রধান বিষয় মাথায় রাখতে বলা হয়েছে বিশ্ববাসীকে। কারণ যতদিন না ভ্যাকসিন উপলব্ধ হচ্ছে, ততদিন এই দু’টি বিষয় আমাদেরকে সংক্রমণ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে। এমনটাই জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার এক সমীক্ষা অনুযায়ী, ৬ ফিটের শারীরিক দুরত্ব বর্তমান নির্দেশিকা অনুসারে কোভিড–১৯ সংক্রমণ রুখতে পর্যাপ্ত নয়।

মহামারির পর থেকেই সকলে '২ গজের দুরত্ব’ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে মেনে চলছেন। তবে এটি খোলা জায়গার জন্য প্রযোজ্য আর একই জিনিস জনবহুল এলাকায় প্রযোজ্য নয়, যেখানে বাতাস নিজেই হুমকির মতো ঘুরছে। শহরের প্রত্যেকটি জায়গা যেহেতু বায়ু চলাচলের জন্য আদর্শ ছিল না, তাই কর্তৃপক্ষ সংক্রমণের ঘটনা ঘটবে না এমন নিশ্চিত আশ্বাস না দিয়ে সীমাবদ্ধ দর্শনের ব্যবস্থা করেছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার এই সমীক্ষা কোরিয়ান মেডিক্যাল সায়েন্স নামে এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে উপসর্গবিহীন ব্যক্তির কাছ থেকে এই সংক্রমণ স্বতন্ত্র ব্যক্তির কাছে চলে যায়। সমীক্ষায় এও বলা হয়েছে যে ৬ ফিটের দুরত্বকে গ্রহণযোগ্যতা দিলেও দু’জনের মধ্যে ২০ ফিটের দুরত্ব থাকলেও সেখান থেকে সংক্রমণ হতে পারে। কোভিড–১৯–এর টাস্ক ফোর্সের এক সদস্য বলেন, 'মন্দির, স্কুল, রেস্তোঁরা এবং বাজারের মতো সীমাবদ্ধ জায়গাগুলির মধ্যে করোনা ভাইরাসটি যাতে ছড়িয়ে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য ভালভাবে বায়ুচলাচল অবশ্যই জরুরি।’
তবে এটাই প্রথমবার নয়, এর আগে অক্টোবরে আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রক ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছিল যে ছয় ফুটের দুরত্ব মানা হলেও সংক্রমিত ব্যক্তির কাশি বা কথার ফোঁটা থেকে সংক্রমণ হতে পারে।
জেলে স্থান হবে মমতার পরিবারের সদস্যের! হুঁশিয়ারি দিয়ে এদিন কোন কোন অভিযোগ তুললেন কৈলাশ