কলকাতা: সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বাংলা সফরে আসেন৷ সভা করতে ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার সময় তার কনভয়ে হামলা করা হয়ে বলে অভিযোগ৷
এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠে৷ এমনকি দিল্লির রাজনীতিকেও নাড়িয়ে দিয়েছে৷ তারফলে এবার বাংলায় বিজেপির প্রধান কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নিরাপত্তা বাড়ান হল৷
সূত্রের খবর, এখন থেকে Z প্লাস নিরাপত্তা ও বুলেটপ্রুফ গাড়ি পাবেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ প্রসঙ্গত,গত বৃহস্পতিবার নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ডায়মন্ড হারবারে যাচ্ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। নাড্ডার সঙ্গেই অন্য গাড়িতে যাচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাীশ বিজয়বর্গীয়, অনুপম হাজরারা। এবং মুকুল রায়৷
ডায়মন্ড হারবারের শিরাকোলে কনভয় পৌঁছোতেই রাস্তার দুধার থেকে ইটবৃষ্টি শুরু হয় বলে অভিযোগ। জেপি নাড্ডার গাড়ি ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। এরই মধ্যে পরপর গাড়ির কাচে ধেয়ে আসে ইট, কাচের বোতল। একের পর এক গাড়িতে বেপরোয়াভাবে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
কাচের বোতলের টুকরো লেগে জখম হয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। চোট পান কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ও। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলায় আহত হয়েছেন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ও৷
তাঁর গাড়ির কাচও ইটের ঘায়ে ভেঙেছে৷ ঘটনার পর মুকুল রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে যা ঘটেছে, এরপর পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত৷ এমনকি নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও৷
টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘আজ, বাংলায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাজি-র কনভয়ে আক্রমণ খুবই নিন্দনীয় একটি ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই আক্রমণকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। এই সংগঠিত হামলার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রাজ্যের শান্তিকামী মানুষের কাছে জবাদহি করতে হবে।’’
হামলার কথা নসাৎ করে টুইটে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে লেখা হয়, ‘বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি শ্রী জে পি নাড্ডা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের ভেন্যুতে নিরাপদে পৌঁছেছেন। তাঁর কনভয়ে কিছুই হয়নি।
দেবীপুরে কয়েকজন পথচারী হঠাৎ তাঁর কনভয়ের পিছনে দীর্ঘ যানবাহনের দিকে পাথর ছোঁড়ে৷ প্রত্যেকে নিরাপদ এবং পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। প্রকৃত ঘটনা জানতে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ এরপর রাজ্য পুলিশ হামলার ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে৷