শুভেন্দুকে নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা রাজীবের! একুশের আগে ‘মনের কথা’ পার্থ-সকাশে
শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়লে তৃণমূলের ক্ষতি হবে বলেই মনে করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। এমনকী রাজীবের সঙ্গে শুভেন্দুর বৈঠক হয়েছিল বলেও রটে যায়। এদিন পার্থ-পিকের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটালেন রাজীব।

শুভেন্দুর সঙ্গে যেন না জড়ানো হয় রাজীবকে
রাজীবের মানভঞ্জনে বৈঠকে বসেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন প্রশান্ত কিশোরও। নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে দেড় ঘণ্টা বৈঠক শেষে রাজীব সাফ জানিয়ে দেন, তাঁকে দয়া করে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যেন না জড়ানো হয়। বনমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট করে দেন দলে ক্ষোভ থাকতেই পারে। উভয়েরই আছে। কিন্তু প্রেক্ষিত ভিন্ন।

শুভেন্দুবাবু এবং তাঁর বিষয় সম্পূর্ণ ভিন্ন, বললেন রাজীব
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ক্ষোভ থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমেই মিটবে। তাই ভবিষ্যতে আর আলোচনা হবে। আবার ডাকা হলে আমি আসব। শুভেন্দুবাবু এবং তাঁর বিষয় সম্পূর্ণ ভিন্ন। দয়া করে শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে তাঁর নাম যেন জড়ানো না হয়, সাংবাদিকদের উদ্দশ্যে সেই বার্তা দেন রাজীব।

শুভেন্দু অধিকারী বেঁকে বসেছেন, রাজীবের বার্তা
২০২১-এর আগে শুভেন্দু অধিকারী বেঁকে বসেছেন। তিনি ইতিমধ্যেই মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ছেড়েছেন সমস্ত কমিটি এবং প্রাতিষ্ঠানিক পদও। তবে তিনি এখনও তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্য এবং বিধায়ক। এখনও তিনি স্পষ্ট করেননি, তৃণমূল ছাড়বেন কি না বা ছাড়লে কোথায় যাবেন। তিনি নতুন কোনও দল বা মঞ্চ করবেন কি না, তাও স্পষ্ট করেননি শুভেন্দু।

শুভেন্দুর পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও বেসুরো
এরই মধ্যে শুভেন্দুর পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জনপ্রিয় নেতা বেসুরো বাজতে শুরু করেন। তিনি অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বলে বসেন, তৃণমূলে স্তাবকরাই নম্বর পান। তিনি হ্যাঁ-কে হ্যাঁ এবং না-কে না বলতে পারেন না বলে তাঁর নম্বর কম। কাজ করলেও তাঁকে পিছনের সারিতে সরিয়ে দেওয়া হয়।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানভঞ্জনে দলের মহাসচিব
এরপর ব্রাহ্মণদের মঞ্চেও সরব হন তিনি। কলকাতা অবরুদ্ধ করার ডাক দেন। দলবিরোধী সরাসরি কোনও কথা না বললেও, ব্রাহ্মণদের মঞ্চ থেকে রাজীব বলেন, তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এরপরই বিলম্ব না করে রাজীবকে নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে আলোচনা বসে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানভঞ্জনে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় পিকেকে নিয়ে বৈঠক করেন।