পিকে নাকি শুভেন্দু- কে বড় নেতা! ট্রেলারে নয় দেখবেন ২০২১-এর ‘সিনেমা’য়
সবে তো ট্রেলার দেখছেন, ২০২১-এ দেখবেন আসল সিনেমাটা। বহিষ্কৃত হওয়ার পরই একহাত নিয়েছিলেন তৃণমূলকে। সেইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী-ঘনিষ্ঠ কনিষ্ক পণ্ডা বলেন, একুশেই প্রমাণ হয়ে যাবে কে বড় নেতা- প্রশান্ত কিশোর নাকি শুভেন্দু অধিকারী। খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন কনিষ্ক। ক্রমশ শুভেন্দুর তৃণমূল থেকে সরে আসার কারণ স্পষ্ট হতে শুরু করল।

প্রশান্ত কিশোররের ঘোর বিরোধী ছিলেন শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী প্রথম থেকেই প্রশান্ত কিশোরকে সংগঠনের কাজে লাগানোর ঘোর বিরোধী ছিলেন। বারবার তা তিনি জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রশান্ত কিশোরকে সরাসরি তৃণমূলের সংগঠনের কাজে বহাল করেছিলেন। তাঁর কথামতোই সংগঠন সাজানো হয়েছিল। তাতেই বিপত্তি বাধে তৃণমূলে।

প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তুলনা শুভেন্দু অধিকারীর
পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর ডান হাত বলে পরিচিত ছিলেন কনিষ্ক পণ্ডা। তাঁকে সম্প্রতি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পদ থেকে। দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। তারপরই তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন কে বড় নেতা তা দেখা যাবে একুশেই। শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে দিয়েছিলেন গতদিনে। এদিন তিনি প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তুলনা করলেন শুভেন্দুর।

গেরুয়া রঙের অফিস উদ্বোধন শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠের
মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে মমতাকে সরিয়ে শুভেন্দু বসবে- এই বিবৃতির পরই কনিষ্ককে নিয়ে কড়া হয় তৃণমূল সরকার। তিনি একইসঙ্গে গেরুয়াকে ত্যাগের প্রতীক বলে বর্ণনা করে শুভেন্দুকে নিয়ে একটা ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করেছিলেন। তারপর এলাকায় গেরুয়া রঙের শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তা কেন্দ্র উদ্বোধনও করেন তিনি।

সবেমাত্র ট্রেলার দেখেছেন, সিনেমাটা দেখাই বাকি
বহিষ্কারের পর উপস্থিত দাদার অনুগামীদের মিষ্টিমুখ করিয়ে কনিষ্ক বলেন, সবেমাত্র ট্রেলার দেখেছেন। এখনও সিনেমাটা দেখাই বাকি। দুয়ারে সরকারের থেকেও, বাংলায় এখন শুভেন্দু অধিকারীকে বেশি দরকার। শুভেন্দু অধিকারী মানেই উন্নয়ন, শুভেন্দু অধিকারী মানেই অর্থনৈতিক উন্নতি। শুভেন্দু অধিকারীর চ্যাপ্টার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্লোজ করে দিয়েছেন। এবার মমতাদিকে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।