নয়াদিল্লি: ভ্যাক্সিন নিয়ে আশা ও আশঙ্কা দুটিই রয়েছে। সেরা ইনস্টিটিউটের বার্তার দিকে তাকিয়ে আছে দেশের মানুষ। কারণ অক্সফোর্ডের ভ্যাক্সিনের উৎপাদনকারী হিসেবে কাজ করছে এই সংস্থা। এবার সেই ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালার দাবি, জানুয়ারি থেকেই শুরু হতে পারে ভ্যাক্সিন দেওয়ার প্রক্রিয়া।

আগামী অক্টোবরেই ভারত সাধারণ জীবনে ফিরতে পারবে বলেও আশা জাগিয়েছেন তিনি।

ভারত বায়োটেক তাদের কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধকদের ছাড়পত্র পেতে আবেদন করেছিল দেশের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেলের দফতরে। সেন্ট্রাল ড্রাগ রেগুলেটরে অ্যাস্ট্রোজেনেকা-অক্সফোর্ড প্রতিষেধকের ছাড়পত্র পেতে দরবার করেছিল সেরাম। কিন্তু তথ্যের অভাবে জরুরি ছাড়পত্র মঞ্জুর হল না কারও। এর মধ্যে সেরামের প্রতিষেধকের তৃতীয় দফার পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও ভারত বায়োটেকের তাও হয়নি। প্রসঙ্গত, ভারতে ছাড়পত্র পেতে আবেদন করেছে ফাইজার সংস্থাও।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের প্রধান বলরাম ভার্গভ জানিয়েছেন, টিকার উপকার এবং ঝুঁকির অনুপাতে সন্তুষ্ট হলে তবেই এদেশে কোনও সংস্থাকে প্রতিষেধক বাজারে ছাড়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, অ্যাস্ট্রোজেনেকা এবং অক্সফোর্ডের প্রতিষেধকের ক্ষেত্রে অনেক তথ্য কম। এটি ৯০ শতাংশ কার্যকর কি না এবং ৫৫ বছরের বেশি বয়সের শরীরে কতটা কাজ করবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

আস্ট্রোজেনেকার গবেষকদের দাবি, পুরো ডোজ দেওয়া হলে ৬২ শতাংশ ক্ষেত্রে কাজ করেছে তাঁদের প্রতিষেধক। এদিকে অর্ধেক ডোজে কাজ করেছে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে। কিন্তু এই পরীক্ষা খুব অল্পসংখ্যক মানুষের ওপর কড়া হয়েছে বলে ভরসাযোগ্য নয়।

ভয় কাটানোর দাওয়াই হতে পারে দুই বাংলার কোভিড জয়ীদের কথা।