স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: দলবিরোধী কাজের অভিযোগে এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সম্পাদক কনিষ্ক পণ্ডাকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। রবিবারই এই ঘোষণা করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।

নন্দীগ্রামের বিধায়ক, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত কনিষ্ক পণ্ডা। দলের সঙ্গে শুভেন্দুর টানাপোড়েনে বারবারই প্রকাশ্যেই শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আক্রমণ করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শনিবারই কনিষ্ক বলেছেন, “মেদিনীপুরের ছেলে শুভেন্দুই একুশে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। অপেক্ষা করুন।”

এদিনই কাঁথিতে দেওয়ালে গেরুয়া রং করে শুভেন্দু অধিকারী সহায়তা কেন্দ্র খোলেন কনিষ্ক পণ্ডারা। এমনকী, গেরুয়া রং-এর পাঞ্জাবী পরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন কনিষ্ক। তিনি বলেন, “দিদির সব কিছু ঢপ। দিদির স্বাস্থ্যসাথী ঢপ। যখন হাসপাতালে নিয়ে যাবেন তাড়িয়ে দেবে। দিদির কাছে কোনও টাকা নেই। দিদির যা ঋণ আছে ঢেকে দিলেও ঋণ শোধ হবে না। বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছেন শুভেন্দুকেই দরকার। আর ত্যাগ বলতে গেরুয়া।” কনিষ্ক বলেন, “যতদিন না নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানো হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই শুভেন্দু অধিকারী সহায়তা কেন্দ্র চালু থাকবে।”  এরপর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “দিদি রেডি হোন। মেদিনীপুরের গামছা পরা,পান্তাভাত খাওয়া ছেলেটা আপনার বিরুদ্ধে লড়বে।”এই মন্তব্যের ঠিক পরের দিনই রবিবার দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী জানালেন, কনিষ্ক পণ্ডাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা।

তবে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান কী হতে চলেছে, তা স্পষ্ট করেননি কনিষ্ক। তিনি বলেন, “অবস্থান একেবারে স্পষ্ট শুভেন্দু অধিকারী বরাবরই করে এসেছেন। আজকে নতুন করে কিছু নেই তো। তাড়ালে আমরা চলে যাব। আমরা এখানে থাকার জন্য কাঙ্ক্ষিত নই। শুভেন্দু অধিকারী কোনওভাবে পদের লোভী নন। আমাদের কাছে ক্লিয়ার – তুমি তাড়াওনি, আমি যায়নি।” প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার প্রয়োজন বলে দাবি করেছিলেন এই কনিষ্ক পণ্ডা। তাঁর অভিযোগ ছিল, শুভেন্দুকে খুনের চক্রান্ত হচ্ছে। শুভেন্দুর নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্যপালের কাছে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বাঁকুড়ার এক নেতাকে সাসপেন্ড করে দল। তাঁর বিরুদ্ধেও দলবিরোধী কাজের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছিল শাসকদল।

ভয় কাটানোর দাওয়াই হতে পারে দুই বাংলার কোভিড জয়ীদের কথা।