তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া : ‘বাংলায় বদলও হবে, বদলাও হবে’। হুমকি দিলেন বিজেপির রাঢ় বঙ্গ জোন কমিটির অবজার্ভার রাজু বন্দোপাধ্যায়

রবিবাসরীয় সকালে বাঁকুড়া শহরের লাল বাজারে ‘চায়ে পে চর্চা’য় অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই কথা বলেন।

এদিন তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্যে আইনের শাসন নেই, গুণ্ডারাজ চলছে’। শনিবারের বারাপকুরের ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, অর্জুন সিং জিতে আসার পর ‘বারাকপুরকে টার্গেট করা হচ্ছে, মণীশ শুক্লা থেকে একের পর এক খুন হচ্ছে’। পুলিশ কি করছে প্রশ্ন তুলে বলেন, এই শাসন ব্যবস্থা চলতে পারেনা। পুলিশের উচিৎ ‘এনকাউন্টার করে দেওয়া’। কিন্তু তার জায়গায় ‘হাতে চুড়ি পরে আছে পুলিশ’।

রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে বাংলা সিনেমার একটি জনপ্রিয় গানের লাইন তুলে ধরে তিনি বলেন, দুয়ারে দুয়ারে তো যেতেই পারছে না। বাংলার মা-বোনেরা ঝাঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গত ১০ বছরে মাফিয়ারাজ, কাটমানিরাজ, গুণ্ডারাজ চলেছে। দুয়ারে গেলেই মানুষ টাকা ফেরৎ চাইছে। কোন উত্তর নেই।

এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতিতে বহু চর্চিত নাম শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি, শুভেন্দু অধিকারী ইজ এ গুড প্লেয়ার। প্লেইং ইন এ রং কোর্ট’। দু’টো নৌকায় পা রেখে কি লাভ? রাজ্যের মানুষের উন্নয়ন, ন্যায় আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে আর দেরী না করে তাঁর এখনি বিজেপিতে যোগ দেওয়া উচিৎ বলে তিনি মনে করেন বলে জানান।

‘চায়ে পে চর্চা’য় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে গিয়েও পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ।

এদিন তিনি বলেন, কিছু পুলিশ আধিকারিক তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। বিজেপি ক্ষমতায় এসে রাজ্যে গণতন্ত্র, ন্যায় ও আইনের প্রতিষ্ঠা করবে। আর সেই কাজে বাধা দিতে এলে যতো বড়ই ‘আইএস-আইপিএস’ তিনি হন তার ‘উর্দি খুলে নেওয়া হবে’ বলে তিনি হুমকি দেন।

এদিনের ‘চায়ে পে চর্চা’য় রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র, জেলা যুব মোর্চা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল, মহিলা মোর্চার মণিকা দত্ত প্রমুখ।

এদিকে এই ঘটনায় বিজেপি নেতৃত্বের ‘মাথা পাগল’ দাবি তৃণমূলের। দলের বাঁকুড়া জেলা মুখপাত্র দিলীপ আগরওয়াল রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আরও বলেন,” নির্বাচন যতো কাছে আসছে ততো বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আসছে, ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। তারা আবারও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চাইছেন।”

এর পরেই রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চায়ে পে চর্চা’কে কটাক্ষ করে বলেন, ‘উনি ওখানে চা খাচ্ছিলেন না অন্য কিছু খাচ্ছিলেন জানিনা। তবে কথা বার্তা বড়ই অসংলগ্ন’ বলে তিনি দাবি করেন।

ভয় কাটানোর দাওয়াই হতে পারে দুই বাংলার কোভিড জয়ীদের কথা।