যতই বলা যাক ‘টাকা মাটি, মাটি টাকা’! আদতে টাকার জন্যই সাধারণ মানুষের দিন রাত এক করা পরিশ্রম। বাস্তবে টাকা ছাড়া কোনও কিছুই সম্ভব নয় বলেই মনে করা হয়। মতভেদ থাকলেও বেশির ভাগ মানুষ এমনটাই বিশ্বাস করেন।

কিন্তু আপনি কী জানেন এখন নিজের বাড়িতে লাগাতে পারেন ‘টাকার গাছ’। না কোনও অবাস্তবিক ব্যাপার না। এই গাছের ফলের মতো টাকাও বেরয়ে না। কিন্তু এই গাছ বাড়িতে যত্ন সহকারে রাখলে নাকি হাতে আসবে অফুরন্ত টাকা। এই গাছের নাম ক্র্যাসুল্লা।

এই গাছের পাতা মোটা, চকচকে এবং মসৃণ। সবুজের শেডে গাছটি।কয়েকদিন গাছটাকে রাখার পর বাদামী রঙের হয়ে যায়। এই গাছটি নিজের বাগানে রাখতে খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু একটু বড় টবে পুতলে এই গাছটি তরতর করে বড় হতে থাক। সুর্যের আলো পড়লে এই গাছ আরো তাড়াতাড়ি বাড়ে। তবে বেশি জল দিলে হিতে বিপরীত হবে। বরং একবার জল দেওয়ার পর মাটি শুকোলে তবেই আবার গাছটিতে জল দিন।

চিনের এক ধর্মগুরুর মতে এই চারা গাছ ঘরে ঢোকার সময় ডানদিকে লাগানো উচিত। মানসিক ও শারিরিক দুই ভাবেই শক্তিশালী করে এই ক্র্যাসুল্লা গাছ।

ক্র্যাশুলার বেশ কয়েকটি প্রজাতির সন্ধান করতে পারেন। সবার মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় হ’ল ক্র্যাসুলা আরবোরাসেসেন, কটিলেডন ট্রি বা মানি গাছ। সিলভার ক্র্যাসুলা (ক্র্যাসুলা আরজেন্টা), ওভাল ক্র্যাসুলা (ক্র্যাসুলা ওভাটা) কে অর্থ গাছও বলা হয়। এই গাছগুলির বিভিন্ন পাতার রঙ থাকতে পারে। উপরের ধরণের ক্র্যাসুলায় সবুজ, ঘন সবুজ বা চকচকে রূপালী পাতার পৃষ্ঠ রয়েছে এমন পাতাগুলির পাতার পিছনে লাল রঙের সীমানা বা লাল দাগ থাকতে পারে।

সমস্ত উদ্ভিদের মতো এই উদ্ভিদটি পাতাগুলিতে আর্দ্রতার বৃহত সরবরাহ জমায়েত করে, যা ঘরে কঠিন আবহাওয়ার অবস্থার মধ্যে বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য করে – আফ্রিকার শুষ্ক উষ্ণতা, দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে, দক্ষিণ আরবের মাদাগাস্কারে।

ভয় কাটানোর দাওয়াই হতে পারে দুই বাংলার কোভিড জয়ীদের কথা।