সিডনি: অন্তিম দিনের প্রথম সেশনে তিনটি উইকেট তুলে নিলেও বাকি দু’টি সেশনে ব্যর্থ ভারতীয় বোলাররা। আর শেষদিনে ভারতীয় বোলারদের ব্যর্থতার সুযোগ নিয়েই দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ (পিঙ্ক বল) সহজেই ড্র করল অস্ট্রেলিয়া-এ দল। সৌজন্যে বেন ম্যাকডারমট ও জ্যাক উইল্ডারমুথের জোড়া সেঞ্চুরি। তৃতীয় অর্থাৎ শেষদিন ৭৫ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া-এ ৩০৭ রান তোলার পরেই দুই অধিনায়ক হাত মিলিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

হনুমা বিহারী (১০৪) এবং ঋষভ পন্তের (১০৩) অপরাজিত শতরানে দ্বিতীয়দিনের শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে তোলা ৩৮৬ রানেই দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে রাহানের দল। ৪৭৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চতুর্থদিন ব্যাট করতে নামে অ্যালেক্স ক্যারি অ্যান্ড কোম্পানি। শুরুতেই ফিরে যান দুই ওপেনার মার্কাস হ্যারিস ও জো বার্নস। ১৪ রানে পয়েন্টে সিরাজের বলে সাইনির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ম্যাডিলসন। মাত্র ২৫ রানে ৩ উইকেট খুঁইয়ে হারের আতঙ্ক গ্রাস করে অজি শিবিরে। এরপরই হাল ধরেন অধিনায়ক অ্যালেক্স ক্যারি এবং বেন ম্যাকডারমট।

চা বিরতিতে অজিদের রান ছিল ৩ উইকেটে ৮৯। দ্বিতীয় সেশনে অর্ধশতরান পূর্ণ করে অ্যালেক্স ক্যারি ৫৮ রানে আউট হলেও অজিরা ১১১ রান তোলে। ক্যারি আউট হওয়ার পরেই ম্যাকডারমটের সঙ্গে জুটি বাঁধেন উইল্ডারমুথ। ভারতীয় বোলারদের একেবারে সাধারণ স্তরে নামিয়ে এনে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দ্বিতীয় শতরানটি পূর্ণ করেন ম্যাকডারমট। অন্যদিকে চালিয়ে খেলে ১১১ বলে ১১৯ রান করেন উইল্ডারমুথ। তৃতীয় সেশনে মাত্র ২০ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১০৭ রান তোলেন দুই ব্যাটসম্যান। উইলদারমুথের ইনিংস সাজানো ছিল ১২টি চার এবং তিনটি ছয়ে।

অন্যদিকে ১৬টি বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ছিল ম্যাকডারমটের অপরাজিত ১০৭ রানে ইনিংস। প্রথম সেশনে দু’টি উইকেট নেন শামি, একটি উইকেট দখল করেন সিরাজ। দ্বিতীয় সেশনে ক্যারিকে ফেরান বিহারী। পার্টটাইমার স্পিনার হিসেবে বিহারী, মায়াঙ্ক এবং পৃথ্বী প্রত্যেকেই হাত ঘোরান। তবে ম্যাচ ড্র হলেও দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে ভারতের পাওনা অনেককিছুই। গিল, বিহারী, পন্তদের ব্যাটিং বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি শুরু আগে ভরসা দেবে ম্যানেজমেন্টকে।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১৯৪ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারতের ইনিংস। জবাবে ভারতীয় বোলারদের দাপটে ১০৮ রানে প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় অজি-এ দলের।

ভয় কাটানোর দাওয়াই হতে পারে দুই বাংলার কোভিড জয়ীদের কথা।