পূর্বস্থলী: উত্তর ২৪ পরগণার হালিশহরে বিজেপি কর্মী খুনের ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি৷ এরই মধ্যে আরও এক বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনা ঘটল পূর্বস্থলীতে৷ এই ঘটনায়ও শাসকদলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি৷ যদিও অস্বীকার করেছে শাসক দল৷

বিজেপির অভিযোগ, ডায়মন্ড হারবারে জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার পূর্বস্থলীতে একটি মিছিল করে বিজেপি৷ সেই মিছিলে যোগ দেন বর্ধমান পূর্ব (কাটোয়া) জেলার পূর্বস্থলী বিধানসভার ৩৮ নম্বর মণ্ডলের বিজেপি কর্মী সুখদেব প্রামাণিক৷

কিন্তু সেদিন রাত থেকেই তার খোঁজ মিলছিল না৷ এরপর রবিবার দুপুরে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় বিজেপি কর্মীর দেহ। কাটোয়ার বিজেপি কর্মী সুকদেব প্রামানিককে তৃণমূলের গুন্ডারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে বলে দাবি বিজেপির৷

এদিকে উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার সকালে বীজপুর থানার সামনে বিক্ষোভ করে বিজেপি৷

সূত্রের খবর, ধৃত তিনজনই তৃণমূল কর্মী। এফআইআর এ তাদের নাম রয়েছে। কিন্তু মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার সকাল থেকে বীজপুর থানার সামনে বিজেপির বিক্ষোভ চলে৷ থানার সামনে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তারজন্য বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। নামানো হয়েছিল RAF.

প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে হালিশহরে বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠে৷ ওই ঘটনায় তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি৷ অপরদিকে শাসক দলের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই মৃত্যু৷ ফলে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর৷

বিজেপির দাবি, ‘শনিবার বিকেলে হালিশহরে তাদের আর নয় অন্যায় কর্মসূচী চলাকালীন বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর চালায় তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী৷ তাতে বিজেপির ১ কর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়,আরও ৬ জন আহত৷’

জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি হালিশহর পুরসভার কর্মী ছিলেন৷ আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হালিশহরের ঘটনায় গুরুতর ভাবে আহত বিজেপি কর্মীদের দেখতে জেএনএম হাসপাতালে যান সাংসদ অর্জুন সিং৷

ভয় কাটানোর দাওয়াই হতে পারে দুই বাংলার কোভিড জয়ীদের কথা।