নয়াদিল্লি: দেশের তাবড় তাবড় সংস্থা কিংবা ব্যক্তির ঘরে ঘরে তল্লাশি চালিয়ে বেআইনি জিনিসপত্র উদ্ধার করে থাকে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। সেখান থেকে উদ্ধার করে আনে হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি। আর তার মধ্যে অন্যতম সোনা। তাই সংস্থার হাতে সুরক্ষিতভাবে থাকে প্রচুর পরিমাণ সোনা। তবে এবার সত্যিই অবাক করা ঘটনা।

দেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ তদন্তকারী সংস্থার ঘর থেকেই এবার চুরি গেল সোনা। একটু আধটু নয়, ১০৩ কেজি সোনা চুরি গিয়েছে সেই ভল্ট থেকে। যার মূল্য অন্তত ৪৫ কোটি টাকা।

শুক্রবার এই ঘটনা সামনে আসায় তামিলনাড়ু সিআইডিকে তদন্তের আদেশ দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। এদিন সিবিআই অবশ্য আবেদন করেছিল, সিআইডি এনিয়ে তদন্ত করলে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার সম্মানহানি হবে। সেই আবেদনে কান দেয়নি আদালত।

মাদ্রাজ হাইকোর্ট এদিন তার রায়ে জানান, এটা সিবিআইয়ের একটা অগ্নিপরীক্ষা। কিন্তু এছাড়া কোনও উপায় নেই। যদি তারা পরিষ্কার থাকে তাহলে তাদের জয় হবে। আর তা যদি না হয় তাহলে এর জন্য তাদের ফল ভোগ করতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ওই সোনা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। সুরানা কর্পোরেশন লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি থেকে ৪০০.৪৭ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

সোনার সাঁজে মিমি
ফাইল ছবি

সোনার বাট ও গহনা মিলিয়ে ওই সোনা আসে সিবিআইয়ের হাতে। সুরানার লকার সিল করে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি ওই লকারের চাবি তারা জমা দিয়েছিল চেন্নাইয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে।

সিবিআই বলছে, ভল্টের ৭২ টা চাবি চেন্নাই প্রিন্সিপ্যাল স্পেশাল কোর্টের হাতে তুলে দিয়েছে তারা।

ভয় কাটানোর দাওয়াই হতে পারে দুই বাংলার কোভিড জয়ীদের কথা।