কলকাতা: কয়েকদিন আগেই ইস্তফা দিয়ে শিরোনামে আসেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে দিলেন আইনি নোটিশ। তাঁর সম্পর্কে ফিরহাদ যে মন্তব্য করেছেন, তা অপমানজনক বলেই মনে করেছেন তিনি।

ইতিমধ্যেই এবার ফিরহাদ হাকিমকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈশাখী যুক্তি দেন তিনি একজন মহিলা সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তা অপমানজনক। ফলে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে।

ফিরহাদ হাকিম যদি ক্ষমতা না চান, তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরহাদ হাকিমের পাশাপাশি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে আমিরউদ্দিন ববিকেও।

ওই আইনি নোটিশের সময়সীমাও রয়েছে। তাঁর কথায়, “সম্মান নিয়ে বাঁচাটা মৌলিক অধিকার। সেই সম্মানটাই নষ্ট হয়েছে। উনি যে কথা বলেছেন তা ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটা শুধু কলেজের চৌহদ্দিতে আটকে নেই। আমার মর্যাদাটা নষ্ট করেছে।”

কয়েকদিন আগেই চাকরি ছেড়ে দিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। ইস্তফাপত্রের প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা দফতরেও।

নিজের ইস্তফা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আমাকে উৎখাত করবেন বলেছিলেন। তার পরেই আমাকে মিল্লি আল আমিন কলেজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শিক্ষক জীবনে আসল কথা হল সম্মান। যেভাবে আমাকে অপমান করা হল তারপর আর ছাত্রীদের সামনে দাঁড়ানো যায় না। সম্মান রক্ষার জন্যই আমি শিক্ষকতা ছেড়ে দিলাম।”

এখনও ২২ বছর চাকরি ছিল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অর্থাৎ ২২ বছর আগেই তিনি অবসর নিলেন। যেই কারণে তিনি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রী চাইলে চাকরি জীবনের বকেয়া টাকা নাও দিতে পারেন।

সম্প্রতি মিল্লি আল আমিন কলেজে নানা দাবিতে ছাত্রীরা আন্দোলন শুরু করেন। সেখানে গিয়ে পুরমন্ত্রী বলেছিলেন, বৈশাখীকে সমূলে উৎপাটিত কর। শোভন এবং বৈশাখী দুজনে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে ফিরহাদের বিরুদ্ধে নালিশ করেন। এরপরই সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজগুলিতে শিক্ষক বদলির তালিকায় নাম ওঠে মিল্লি আল আমিন কলেজের টিচার ইনচার্জ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁকে রামমোহন কলেজে বদলি করে দেওয়া হয়। এতেই চরম ‘অপমানিত’ হন বৈশাখী। তবে সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।

ভয় কাটানোর দাওয়াই হতে পারে দুই বাংলার কোভিড জয়ীদের কথা।