বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনে ধৃতকে ম্যারাথন জেরা
বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার খুনের ঘটনায় ধৃত নাসিরকে ম্যারাথন জেরা করে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় নাসির জানিয়েছে নাসিরের সঙ্গেই বিহারে জেলবন্দি সুবোধ সিং-এর পুরোনো বন্ধুত্ব রয়েছে। সেই বন্ধুত্বই খুনের মূল চালিকাশক্তি।

সিআইডি-র দাবি, ব্যারাকপুরের নাসির ও সুবোধ সিং এর আলাপ বহু বছর আগে। একই জেলে থেকেছে দুজনেই। সে সময়েই মণীশ শুক্লার পরিচিত সাগরেদরা সুবোধ সিং ও নাসিরের সঙ্গে এলাকা দখল, তোলাবাজি নিয়ে ঝামেলা করে জেলে এর মধ্যে। সেই ঝামেলা এত বছরেও মেটেনি। ওই ঝামেলা থেকে রাগ আরো বাড়তে থাকে। এরপর নাসির বাংলাদেশ চলে গেলেও, বিহারের বেউর জেলে বন্দি সুবোধ সিং-এর সঙ্গে বন্ধুত্ব থেকে যায়। যথেষ্ট যোগাযোগ ছিল দুজনের।
এদিকে এলাকা দখল, তোলাবাজি করা ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল মণীশের দলবল। আর সে কারণই যেমন ভাবনা তেমন কাজ। নাসির বাংলাদেশে বসেই খুন এর ছক কষে। নাসির এই খুনের পরিকল্পনা কথা জানায় সুবোধ সিংকে। তখন সুবোধ ছয় জন শার্প শুটার নিয়োগ করে। এর মধ্যে দুই শার্প শুটারকে পাঞ্জাব থেকে ইতি মধ্যে সিআইডি গ্রেফতার করেছে। তাদের নাম সুজিত রাই ও রোশান কুমার। বাকি চার জনের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছে সিআইডি।
সিআইডি আরো জানিয়েছে, নাসির-সুবোধ সিং ভেবেছিল দাপুটে নেতা মণীশ শুক্লাকে সরিয়ে দিলে আর এলাকা দখল নিয়ে ঝামেলা হবে না। কারণ মাথার উপর বটবৃক্ষকে সরিয়ে দিলে আর কোনও অসুবিধা হবে না তোলাবাজি ও এলাকা দখল করতে। খুব সহজেই বাকি সাগরেদ দের ওরা কব্জা করে নেবে। বিহারে জেলবন্দি সুবোধ সিংকে হাতে পেলে, নাসিরের সঙ্গে মুখোমুখি জেরা করবে। সিআইডি আর তাতেই মণীশ হত্যাকাণ্ডের কিনারা হতে পারে।
তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত কসবা