বীরভূমে গ্রেফতার জেএমবি জঙ্গির ল্যাপটপ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য! একাধিক 'স্লিপার সেল'-এর হদিশ
জেএমবি (jmb) জঙ্গি সন্দেহে বীরভূম থেকে ধৃত নাজিবুল্লাহ ওরফে সাকিব আলির থেকে প্রাপ্ত ল্যাপটপ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য। একদিকে যেমন সে তালিবানিদের হয়ে প্রচার চালাত, অন্যদিকে স্লিপার সেলের সঙ্গেও যুক্ত ছিল সে। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ(stf) ।

নজরদারিতে ছিল নাজিবুল্লাহ
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর থেকেই এসটিএফ-এর নজরে ছিল নাজিবুল্লাহ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মাস খানেক আগে এসটিএফ-এর তরফে পাইকার থানাকে জানানো হয়েছিল নাজিবুল্লাহ সাকিব আলি নাম দিয়ে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চালাচ্ছে। সেখান থেকে দেশ বিরোধী প্রচার চালানো হচ্ছিল বলেও অভিযোগ। সেই মতো নজর রাখা হচ্ছিল নাজিবুল্লাহের ওপরে।

বৃহস্পতিবার গ্রেফতার নাজিবুল্লাহ
বৃহস্পতিবার পাইকার থানার সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। নাজিবুল্লাহকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ল্যাপটপ, কম্পিউটার, একাধিক স্মার্টফোন, বেশ কিছু পেন ড্রাইভ, বেশ কিছু ইলেকট্রনিক গ্যাজেটস এবং জঙ্গি কার্যকলাপ সংক্রান্ত বেশ কিছু কাগজপত্র। এলাকায় নিজের একটি ছাপাখানা ছিল। সেখানে ইসলাম সম্পর্কিত একাধিক বই পাওয়া যায়। ছাপাখানা লাগোয় নিজের ভাইয়ের একটি চায়ের দোকান রয়েছে। এই গ্রেফতারের পরেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। কেননা স্থানীয়রা কেউই বিশ্বাস করতে পারেনি, যে সে দেশ বিরোধী কাজে যুক্ত।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ
জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অ-ইসলাম সম্প্রদায়ভুক্ত বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজেও যুক্ত হয়ে পড়েছিল নাজিবুল্লাহ। এছাড়াও দেখা গিয়েছে, সে মন্তব্য করেছে তালিবান বাহিনী তো সন্ত্রাসবাদী বাহিনী নয়। ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে এই ধরনের প্রচার চালাতে অভ্যস্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে।

ল্যাপটপ থেকে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের তালিকা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ল্যাপটপ ও পেনড্রাইভ পরীক্ষা করে, চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি এসটিএফ-এর। জঙ্গি সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের একটি তালিকা পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও জেএমবির স্লিলাপ সেলের একটি তালিকা এবং সদস্যদের নামও হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

রাজ্যে দীর্ঘদিন থেকেই সক্রিয় জেএমবি
রাজ্যে দীর্ঘদিন থেকেই সক্রিয় জেএমবি। তবে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর প্রকাশ্যে আসে। এর আগে কলকাতা পুলিশের টাস্কফোর্স হুগলির ডানকুনি থেকে জেএমবির শীর্ষনেতাকে গ্রেফতার করেছিল। বাংলা থেকে বৌদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা।
সাম্প্রতিক সময়ে সেপ্টেম্বরে মুর্শিদাবাদ থেকে আলকায়েদা জঙ্গি সন্দেহে ছয়জনকে গ্রেফতার করে। এছাড়াও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা হলে এর্নাকুলামবাসী তিনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। নভেম্বরের শুরুতে
মুর্শিদাবাদের রানিনগর থেকে জঙ্গি যোগের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। জঙ্গি সন্দেহে একের পর এক ব্যক্তির গ্রেফতারের জেরে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা কাশ্মীরের থেকেও খারাপ বলে মন্তব্য করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
হায়দরাবাদের রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণ, কমপক্ষে আহত ১১ জন শ্রমিক, আটকে রয়েছেন অনেকে