নিশানায় এক প্রাক্তন ও এক বর্তমান মন্ত্রী! রামকৃষ্ণে বাণীতে তৃণমূলেরই দুই প্রভাবশালীকে বিঁধলেন উদয়ন
একটি মাত্র ফেসবুক পোস্ট। আর তাতেই নাম না করে একইসঙ্গে প্রাক্তন সেচমন্ত্রী তথা এখনও তৃণমূলে থাকা শুভেন্দু অধিকারী (subhendu adhikari) এবং বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (rajib banerjee) কটাক্ষ করলেন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক তথা পুরপ্রশাসক উদয়ন গুহ (udayan guha) ।

উদয়ন গুহ-র ফেসবুক পোস্ট
ফেসবুক পোস্টে উদয়ন গুহ লিখেছেন, হয় জলে (সেচ) অথবা জঙ্গলে (বন) না হলে পদ্মফুলে যত মত তত পথ। প্রসঙ্গত সেচমন্ত্রী হিসেবে ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে বনমন্ত্রী হিসেবে পদে থাকলেও দলের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষের কথা প্রকাশ করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

পথ পরিবর্তনের পক্ষে রাজীব
শুক্রবার পুরোহিতদের একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন রামকৃষ্ণের বাণীর কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ঠাকুর বলেছেন যত মত, তত পথ। যত মত থাকবে, পথ তত ভিন্ন ভিন্ন হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি. তিনি আরও বলেছিলেন, যদি কোথাও মনে হয় মানুষের কাজ করার জন্য কোনও মতে অসুবিধা হচ্ছে, তাহলে সেখানে অনেক পথ খোলা আছে। সেই পথ থেকে কেউ কাউকে সরাতে পারবে বলে মনে হয় না। বলেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাল্টা জবাব উদয়নের
রাতেই পাল্টা জবাব দিয়েছেন উদয়ন গুহ। তিনি লিখেছেন, হয় জলে (সেচ), অথবা জঙ্গলে (বন) না হলে পদ্মফুলে, তত মত তত পথ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে একইসঙ্গে কটাক্ষ করেছেন উদয়ন গুহ।

কটাক্ষ কল্যাণেরও
অন্যদিকে নিজের ফেসবুক পোস্টে নাম না করে কটাক্ষ করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছেন, তিনি দেখছেন, কিছু মন্ত্রী উচ্চাকাঙ্খী আর লোভী। তাঁরা হাতে সব ক্ষমতা চান। কীভাবে অন্যকে বিভ্রান্ত করা যায়, তা তাঁরা জানেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। এব্যাপারে তাঁর নিশানা যে শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

মমতাতেই আস্থা উদয়নের
একাধিকবার দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে উদয়ন গুহকে। দলের একাংশ যে চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলেছে, তা নিয়েও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। উদয়ন গুহ বলেছিলেন, তাঁর কাছেও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার অফার রয়েছে। তাঁকে বলছে শোনা গিয়েছে, আদর্শ দেখে তিনি তৃণমূলে যোগ দেননি, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগ দেন, তাহলে তিনিও বিজেপিতে যোগ দেবেন। অন্য কেউ নয়, দলের লোকেরাই তৃণমূলের ক্ষতি করছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
রাজস্থান কংগ্রেসে বড় ভাঙন! বসুন্ধরা বিরোধী নেতাকে দলে নিয়ে অলআউট আক্রমণে বিজেপি?