নয়াদিল্লি: নয়া ভিডিও চিত্র ভারতের হাতে। বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের ২২ মাস পর ফের সেখানে মাথাচাড়া দিচ্ছে জইশ ই মহম্মদ জঙ্গিরা। নতুন করে গড়ে উঠছে জঙ্গি ক্যাম্প। জি নিউজের এক সূত্র বলছে ২০১৯ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি যেভাবে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছিল ভারত, তারপর একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে গিয়েছিল।

কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর নতুন করে ওই এলাকায় মাথা তুলছে জইশ জঙ্গিরা। পাকিস্তানের মদতে তৈরি হচ্ছে নতুন ক্যম্প ও প্রশিক্ষণ শিবির। শুধু বালাকোটই নয়, মুজফফরাবাদ ও চাকোটি এলাকাতেও জঙ্গি ঘাঁটি তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর। বালাকোটে যে প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি হয়েছে, সেখানে নব্য জঙ্গিদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ চলছে বলে জানতে পেরেছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।

মূলত ভারতের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর জন্যই এই যুবকদের মগজ ধোলাই করে জঙ্গি শিবিরে নাম লেখানো হয়েছে।

ভারতীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্ট বলছে বালাকোটে ফের জঙ্গি ঘাঁটি গড়ে তুলেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। এই কাজে সাহায্য করছে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ ই মহম্মদের শীর্ষ কমান্ডাররা। আফগানিস্তানে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার পিছনে এই কমান্ডারদের হাত রয়েছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্ট। এবার সেই জঙ্গি নেতারা ভারতের মাটিতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

একটি ভিডিও সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে ওই ক্যাম্পগুলিতে ভারত, হিন্দুত্ববাদ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে শ্লোগান দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন সাংকেতিক শব্দ ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ শুরু হবে নব্য জঙ্গিদের। পাঠানকোট হামলার মতো ও সেই ধাঁচেই আরেকটি হামলা চালাতে প্রস্তুত হচ্ছে এই জঙ্গিরা।

বর্তমানে পাকিস্তানে ৪০ হাজার জঙ্গি রয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জনকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। জামাত উদ দাওয়া ও জইশ ই মহম্মদের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে প্রত্যক্ষ মদত দেওয়ার অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার বদলা নিতে ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারির রাতে পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতের বায়ুসেনা প্রত্যাঘাত করে৷ যা বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক নামে পরে পরিচিত খ্যাতি পায়৷পুলওয়ামার ভয়াবহ আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পর তলে তলে ভারত প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে৷

বালাকোট অভিযানের সঙ্গে যাদের যুক্ত করা হয়েছিল তারা বিভিন্ন কোড নাম ব্যবহার করতেন৷ এই অভিযান সংক্রান্ত একটি তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে৷ ভারতীয় বায়ুসেনা এই অপারেশনের একটি কোড নাম দিয়েছিল৷ সেটি হল ‘অপারেশন বাঁদর’৷

ভয় কাটানোর দাওয়াই হতে পারে দুই বাংলার কোভিড জয়ীদের কথা।