নয়াদিল্লি : টানা কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল রাজধানী দিল্লি। কার্যত অবরুদ্ধ দিল্লি ঢোকার সব রাস্তা। কেন্দ্রের সঙ্গে একাধিক বৈঠকেও মেলেনি সমাধান সূত্র। বৃহস্পতিবার কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর ও খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানান, এই কৃষক বিক্ষোভের পিছনে কোন দল রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখুক মিডিয়া।

সংবাদমাধ্যমের কাছে কেন্দ্রের আবেদন, এই বিপুল কৃষক বিক্ষোভের পিছনে কারা মদত দিচ্ছে, তা প্রকাশ্যে আনা হোক। যদি তাঁদের বিক্ষোভে কোনও রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য ও রাজনৈতিক পটভূমিকা নেই বলে সরাসরি বক্তব্য রেখেছেন কৃষকরা। তাঁরা জানিয়েছেন এই বিদ্রোহ কোন বিশেষ রাজনৈতিক দলের মদতে হচ্ছে না। এটা স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন।

তোমর জানান, সংবাদমাধ্যমের সেই ক্ষমতা রয়েছে, কোনও ঘটনা থেকে সত্য প্রকাশ করার। তাই এই কৃষক বিক্ষোভের পিছনে কাদের হাত রয়েছে, তা খুঁজে বের করুক মিডিয়া। কৃষিমন্ত্রী বলেন কৃষকদের দাবি দাওয়া খতিয়ে দেখেছে কেন্দ্র। সংশোধিত বিলের খসড়াও পাঠানো হয়েছে, কিন্তু তাতেও মানতে রাজি নয় বিক্ষোভকারী কৃষকরা। খসড়া নিয়ে আলোচনা চাইছে কেন্দ্র।

বৃহস্পতিবার কৃষক নেতারা জানিয়ে দেন, একাধিক রাজনৈতিক দল তাঁদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে চাইলেও, সেই প্রস্তাব সরাসরি ফিরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। কোনও রাজনৈতিক রং এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা করবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দিল্লি প্রবেশ করার সিঙ্ঘু, টিকরি, গাজিপুর ও চিল্লা সীমান্তে অবরোধ করে রেখেছেন কৃষকরা। প্রায় দু সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অবরোধ চলছে। এদিকে, বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্র। তবে সেই আবেদন নিবেদনে গলতে নারাজ কৃষকরা। তাঁদের দাবির প্রেক্ষিতে কেন্দ্র যে খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছে, তাও ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা। কেন্দ্রের নয়া কৃষি বিলের প্রত্যাহারের দাবিতে জুড়েছে নয়া হুঁশিয়ারি।

বিক্ষোভকারী কৃষকরা জানিয়েছেন কেন্দ্র যদি তাঁদের দাবি না মানে তবে রেল রোকো আন্দোলনের পথে যাবেন তাঁরা। অবরোধ চলবে সব রেল ট্র্যাকে। বন্ধ করে দেওয়া হবে ট্রেন চলাচল। বৃহস্পতিবার সিঙ্ঘু সীমান্তে দাঁড়িয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষক নেতারা জানান, দু সপ্তাহ ধরে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা।

এবার রেল ট্র্যাকে নেমে প্রতিবাদ জানাবেন তাঁরা বলে হুঁশিয়ারি কৃষকদের। খুব তাড়াতাড়ি রেল অবরোধের তারিখ ও সময় জানিয়ে দেওয়া হবে বলে খবর। কৃষক নেতা বুটা সিং সাংবাদিক সম্মেলনে জানান কৃষক স্বার্থ না মানলে কৃষকরা রাস্তায় নেমে যেমন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তেমনই এবার রেল ট্র্যাকে নেমে রেল রোকো চলবে।

ভয় কাটানোর দাওয়াই হতে পারে দুই বাংলার কোভিড জয়ীদের কথা।