অন্ধ্রপ্রদেশের অজানা রোগের কারণ জানতে গঠন ২১ সদস্যের কমিটি, আক্রান্ত ৬০০–এর বেশি
অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরীর ইলুরু শহরে রহস্যজনক অজানা রোগের কারণ তদন্তের জন্য রাজ্যের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে ২১ সদস্যসের একাধিক ডিসিপ্লিনারি কমিটি গঠন করল সরকার। ইতিমধ্যেই এই রোগে ৬০০ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।

৬০০ ছাড়িয়েছে আক্রান্ত
বৃহস্পতিবার আরও ১৩ জন রোগী এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় মোট কেসের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে। বর্তমানে ৩২ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। যাঁরা আক্রান্ত হয়েছে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের মাথা ঘোরা, অচৈতন্য হয়ে যাওয়া, মাতা ব্যাথা ও বমি বমি ভাব হচ্ছে। এই কমিটি ভবিষ্যতে এ জাতীয় সংঘটিত ঘটনা রোধে প্রতিকারমূলক প্রতিকারের পরামর্শ দেবে। অন্যদিকে, এক অবসরপ্রাপ্ত আমলা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন যে এই রোগের পেছনে কারণ হিসাবে সীসা দিয়ে ঢাকা পিভিসি পাইপ হতে পারে, যার মাধ্যমে পানীয় জল আসে।

২৬টি শহরের জলের নমুনায় সীসা মিলেছে
অবসরপ্রাপ্ত আইএএস ডঃ ইস শর্মা, যিনি অন্ধ্র সরকারের শীর্ষস্থানে ছিলেন এবং বিদ্যুৎ ও অর্থ মন্ত্রনালয়ে ভারত সরকারের সচিব ছিলেন, তিনি তাঁর চিঠিতে বিকাশ ইকো টেকের তৈরি করা বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠান। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের ২৬ টি শহর জুড়ে পানীয় জলের সরবরাহ ব্যবস্থায় ‘নিরাপদ' মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণে সীসা পাওয়া গেছে এবং এর স্বাস্থ্যের ওপর প্রতিকূল প্রভাব রয়েছে। শর্মা তাঁর চিঠিতে বলেন, ‘কোয়ালিটি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, ভারতের ২৬টি শহর থেকে ৩৩ শতাংশ জলের নমুনা সংগ্রহ করে দেখা গিয়েছে যে সেখানে উচ্চ পর্যায়ের সীসা রয়েছে। সীসায় ঢাকা পিভিসি পাইপ শহরে জল সরবরাহের পদ্ধতিতে ব্যবহার হয় যার জন্য সীসার বিষ চলে যায় জলে। জলের নমুনাগুলি সংগ্রহ করে তা গবেষণার পর এটা আভাস দিয়েছে যে হু-এর নির্ধারণ করা সীসার মাত্রা থেকে ভারতে অনেক বেশি পরিমাণ সীসা ব্যবহার করা হয়। অতিরিক্ত সীসা শরীরে গেল স্নায়ুর সমস্যা দেখা দিতে পারে, ইলুরুতে পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে।' তাঁর এও সন্দেহ রয়েছে যে পানীয় জলের সরবরাহ ব্যবস্থায় ফেলে দেওয়া যানবাহনের ব্যাটারিগুলি সীসাজনিত বিষের কারণ হতে পারে।

সীসা প্রভাব ফেলে শিশুদের ওপর
গবেষকরা তাঁদের পরীক্ষায় দেখেছে যে জলের সীসা জনিত বিষ শিশুদের ওপর বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। প্রতি ডেকলিটারে ১০ মাইক্রোগ্রামের বেশি সীসা থাকলে তা শিশুদের সেখার সমস্যা তৈরি করতে পারে। শরীরের ৭০ টিরও বেশি অসুস্থতা মানবদেহে অতিরিক্ত সীসা উপস্থিত হওয়ার জন্য দায়ি।

জলাধার ও জলের উৎসগুলিকে পরিস্কার রাখার আহ্বান
বিশাখাপত্তনমের প্রাক্তন আমলা, যিনি তাঁর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত, তিনি পরিস্কার জলের উৎসগুলিকে পরিস্কার করতে, যেখান দিয়ে জল সরবরাহ হয়, পিভিসি পাইপের ব্যবহার কমিয়ে আনতে এবং বাসিন্দাদের জলের চাহিদা মেটানোর জন্য যথাযথ নকশা তৈরি করে ট্যাপ ওয়াটার তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেম পুরসভাকে। শর্মা অনুরোধ করেছেন, ‘সীসার কারণেই শুধু নয়, জলের স্বাদ বদলাচ্ছে জিঙ্ক, আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, পারদ ইত্যাদি ভারী ধাতবের কারণেও। যেখানে কয়লার ডাম্প রয়েছে (যেমন বিশাখাপত্তনম বন্দর এলাকায়), এটি সম্ভব যে ইউরেনিয়াম এবং থোরিয়ামের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপগুলিও জলের উৎসে প্রবেশ করতে পারে। কীটনাশকেও বষাক্ত ভারী ধাতব থাকে।' তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিশাখাপত্তনমের জিভিএমসিতে বিশাল পরিমাণে জঞ্জাল ডাম্প করে রাখার অভিযোগ করে
লাভ–জিহাদের জের, যোগী রাজ্যে বিয়ে আটকাল পুলিশ, রাতভর মুসলিম দম্পতি থানায়