মুকুল রায় হঠাৎ হঠাৎ কেন বেঁকে বসছেন! একুশের আগে ‘অন্য গন্ধ’ রাজ্য রাজনীতিতে
মুকুল রায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি হওয়ার পরও মাঝেমধ্যে বেসুরো বাজছেন। নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন সামনের সারি থেকে। এমনকী বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাংলা সফরের মাঝেও তিনি হঠাৎ নিস্ক্রিয় হয়ে যান। কী তার কারণ, কেনই বা তাঁর মানভঞ্জন করতে হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

সর্বভারতীয় সহসভাপতি হয়েও ‘নিস্ক্রিয়’ মুকুল
মুকুল রায় সর্বভারতীয় সহসভাপতি হওয়ার আগে দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন বিজেপিতে। তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূলে বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায়নি সেভাবে। তারপর অমিত শাহের দূত হয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র রাজ্যে আসা এবং দিল্লিতে গিয়ে সর্বভারতীয় সহসভাপতি হওয়ার পর পুনরায় মুকুলকে সরব হতে দেখা যায়।

মুকুল রায় হঠাৎ বেঁকে বসলেন কেন?
কিন্তু বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি যখন রাজ্যে, তখন মুকুল রায় হঠাৎ বেঁকে বসলেন কেন? নাড্ডার সফরের প্রথম দিনেই গোঁসা করেছিলেন মুকুল রায়। তাঁকে সামনের সারিতে দেখা যায়নি। দূরে দূরেই ছিলেন বিজেপির অফিস উদ্বোধনে। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুক ভবানিপুরে আর নয় অন্যায় কর্মসূচিতে যোগ দেননি।

মুকুলকে নিয়ে জল্পনা নাড্ডার সফরে
এমনকী নাড্ডার ডাকা বিধানসভা নির্বাচন পরিচালন কমিটির বৈঠকেও ছিলেন না মুকুল রায়। বস্তিবাসীদের নিয়ে নাড্ডার সভা শুরু হওয়ার আগেই তিনি চলে যান। এমন নানা কারণে মুকুল রায়কে নিয়ে জল্পনার পারদ চড়ে যায়। এরপর রতেই মান ভাঙানোর পর তাঁকে পরদিন ডায়মন্ড হারবারের কর্মসূচিতে দেখা যায় বলে জানা গিয়েছে।

মান-অভিমান প্রশ্নে বিজেপি ও মুকুলের দাবি
বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, কোনও মান-অভিমান বা মান ভাঙানোর পালা হয়নি। মুকুলদার চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল বলে তিনি চলে গিয়েছিলেন। অন্য কোনও বিষয় ছিল না এর মধ্যে। মুকুল রায়ও একই কথা দাবি করেন। বলেন, শরীরটা ভালো নয় বলেই চলে এসেছিলাম। কারও উপর আমার অভিমান নেই।

মুকুলের বারবার না থাকা, অন্য গন্ধ
তবুও জল্পনা দূর হচ্ছে না। এর আগে দিল্লিতে বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। বলেছিলেন চোখের অপারেশন জন্যই তিনি কলকাতায় ফিরেছেন। আর এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এসেছেন বাংলা সফরে। সেই বৈঠক ছেড়ে তিনি চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকায় চলে গেলেন, রাজনৈতিক মহল অন্য গন্ধ পাচ্ছে।

বিজেপির মতিগতি ভাবাচ্ছে মুকুলকে
প্রশ্ন উঠেছে, মুকুল রায় কি তবে গুরুত্বের প্রশ্নেই পিছিয়ে যাচ্ছেন বারেবারে। তাঁকে অন্য নির্বাচনের মতো এবার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। অমিত শাহ নিজের হাতে সমস্ত রেখেছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাঠিয়ে তিনি রিপোর্ট তৈরি করাচ্ছেন। বিজেপির এই মতিগতি কি তবে মুকুল রায় ভালোভাবে নিচ্ছেন না!
কৃষি আইনের 'বল' গড়াল শীর্ষ আদালতে! আরও অস্বস্তীতে পড়তে চলেছে কেন্দ্র?