কলকাতা: বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারের শিরাকোলে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে রাজ্যকে তুলোধনা করেন।

জেপি নাড্ডার রাজ্য সফরে বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার-কাণ্ড ঘটে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিরাকোলে নাড্ডার কনভয়ে বেপরোয়া হামলা চলে। একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর হয়। চোট পেয়েছেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মী। গাড়ির কাচ ভেঙে আহত হয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। হামলার দায় শাসক তৃণমূলের কাঁধেই চাপিয়েছে গেরুয়া শিবির। যদিও বিজেপির অভিযোগ নস্যাৎ করেছে তৃণমূল।

রাজ্য পুলিশও নাড্ডার কনভয়ে হামলা-প্রসঙ্গে দায় এড়িয়েচিল। বৃহস্পতিবার পুলিশের তরফে টুইটে জানানো হয়েছিল, ‘বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি শ্রী জে পি নাড্ডা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের ভেন্যুতে নিরাপদে পৌঁছেছেন। তাঁর কনভয়ে কিছুই হয়নি। দেবীপুরে কয়েকজন পথচারী হঠাৎ তাঁর কনভয়ের পিছনে দীর্ঘ যানবাহনের দিকে পাথর ছোঁড়ে। প্রত্যেকে নিরাপদ এবং পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। প্রকৃত ঘটনা জানতে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

এদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কনভয়ে হামলা নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং থেকে শুরু করে বিজেপির তাবড় নেতারা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটে লিখেছেন, ‘বাংলায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাজি-র কনভয়ে আক্রমণ খুবই নিন্দনীয় একটি ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই আক্রমণকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। এই সংগঠিত হামলার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রাজ্যের শান্তিকামী মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’’

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। শেষমেশ নাড্ডার কনভয়ে হামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

ভয় কাটানোর দাওয়াই হতে পারে দুই বাংলার কোভিড জয়ীদের কথা।