কলকাতা: কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজি-কে তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার।

বৃহস্পতিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার পরেই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজি-র কাছ থেকে সরাসরি রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা চায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ১৪ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে দেখা করতে নির্দেশ মুখ্যসচিব ও ডিজি-কে।

জেপি নাড্ডার রাজ্য সফরে বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার-কাণ্ড ঘটে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিরাকোলে নাড্ডার কনভয়ে বেপরোয়া হামলা চলে। একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর হয়। চোট পেয়েছেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মী।

গাড়ির কাচ ভেঙে আহত হয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। হামলার দায় শাসক তৃণমূলের কাঁধেই চাপিয়েছে গেরুয়া শিবির। যদিও বিজেপির অভিযোগ নস্যাৎ করেছে তৃণমূল। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কনভয়ে হামলা নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারই সুর চড়িয়েছেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং থেকে শুরু করে বিজেপির তাবড় নেতারা।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটে ওই দিন লিখেছেন, ‘বাংলায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাজি-র কনভয়ে আক্রমণ খুবই নিন্দনীয় একটি ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই আক্রমণকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। এই সংগঠিত হামলার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রাজ্যের শান্তিকামী মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’’

এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছে বাংলার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে ব্যাখ্যা চায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই কারণেই আগামী ১৪ ডিসেম্বর রাজ্য প্রশাসনের এই দুই শীর্ষ কর্তাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যসচিব ও ডিজি-র সঙ্গে কথা বলবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তারা।

ভয় কাটানোর দাওয়াই হতে পারে দুই বাংলার কোভিড জয়ীদের কথা।