কলকাতা: এবার সিবিআই অধিকর্তাকে চিঠি পাঠালেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠি পাঠানোর দাবির উপর ভিত্তি করেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধিকর্তাকে চিঠি দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সুদীপ্ত সেন যে চিঠি পাঠিয়েছেন তার উপর সংশয় প্রকাশ করেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দৃষ্টি আর্ষণ করতে চেয়েছেন শুভেন্দু।
চলতি মাসের শুরুতেই জেলে বসেই ‘বোমা’ ফাটিয়েছেন সারদা কেলেঙ্কারির নায়ক সুদীপ্ত সেন। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে সুদীপ্ত সেন একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বলে দাবি করা হয়। চিঠিতে সুদীপ্ত সেন নাকি লিখেছেন, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে অধীর চৌধুরী, বিমান বসু ও সুজন চক্রবর্তীকেও নাকি তিনি প্রচুর টাকা দিয়েছিলেন। এমনকী কাকে তিনি কত টাকা দিয়েছেন তাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন বলে দাবি করা হয়। এই চিঠি প্রকাশ্যে আসার পরেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়।
সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে সুদীপ্ত সেন উল্লেখ করেছেন বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীকে তিনি ৯ কোটি টাকা দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী এবং কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীকে দিয়েছেন ৬ কোটি করে। এরই পাশাপাশি বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকেও নাকি তিনি ২ কোটি টাকা দিয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয় বলে দাবি। এছাড়াও মুকুল রায়কে কত টাকা দিয়েছেন, তা তিনি মনে করতে পারছেন না বলে নাকি সুদীপ্ত সেন ওই চিঠিতে নাকি জানিয়েছেন।
সুদীপ্ত সেনের লেখা চিঠিতে তাঁর নাম রয়েছে জেনেই এবার তৎপরতা নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সিবিআই অধিকর্তাকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু। চিঠিতে শুভেন্দু লিখেছেন, ২৭ নভেম্বর তিনি মন্ত্রিসভা ছাড়ার পরেই ১ ডিসেম্বর যেভাবে জেলে বসে সুদীপ্ত সেন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চিঠি লেখেন তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছেন তিনি। এছাড়াও এত বছর পর কেন এখন সুদীপ্ত সেন প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু চিঠিতে অভিযোগের আকারে লিখেছেন, সারদা-কর্তার চিঠিতে তাঁর নাম আনার পিছনে চক্রান্ত থাকতে পারে। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের চাপে পড়েও সুদীপ্ত সেন এই চিঠি লিখতে পারেন বলে মনে করেন শুভেন্দু। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সুদীপ্ত সেনের এই চিঠি লেখার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আবেদন করেছেন নন্দীগ্রাীমের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।